সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও ব্যতিক্রম চা বাগান

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ

করোনাভাইরাসের কারণে ২৬ র্মাচ থেকে সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। ঘর থেকে বের না হওয়ার নির্দেশনা থাকলেও ব্যতিক্রম সিলেটের অধিকাংশ চা বাগান। পুরোদমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বাগানের শ্রমিক-কর্মচারী ও কর্মকর্তারা। এমন পরিস্থিতিতে আতঙ্কের মধ্যে আছেন চা শ্রমিকেরা।

সারাদেশে মানুষকে দলবদ্ধভাবে মেলামেশা বা সামাজিক বন্ধনে আবদ্ধ না হতে সরকারি নির্দেশনা থাকলেও চা বাগানে দেখা যায় তার ব্যতিক্রম। চা শ্রমিকেরা দলে দলে যোগ দিচ্ছেন কাজে। শ্রমিকেরা দলবদ্ধভাবে চা পাতা তোলাসহ নানা কাজে নিয়োজিত রয়েছেন।

এমতাবস্থায়, সরকার ঘোষিত ছুটি দাবি জানিয়েছেন শ্রমিক ও শ্রমিক নেতারা।

চা বাগানে কাজ করতে আসা চা শ্রমিকেরা বলেন, করোনাভাইরাস কার আছে কার নেই সেটা তো জানি না। আমরা এক সঙ্গে ছাড়া কাজ করতে পারি না। অন্যদের যদি ছুটি দিতে পারে আমাদের কেন পারবে না?

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন সিলেট শাখার সভাপতি রাজু গোয়ালা বলেন, চা বাগানগুলো যাতে সরকারি ছুটির আওতায় আনা যায় সে উদ্যোগ নেয়া উচিত। মানুষ হিসেবে যেন আমরা বাঁচতে পারি।

শ্রমিকরা নিরাপত্তার জন্য ছুটির দাবি জানালেও বাগান কর্তৃপক্ষ বলছে ভিন্ন কথা।

সিলেট লাক্কাতুরা চা বাগানের ব্যবস্থাপক আশরাফুল মতিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ চা সংসদ আছে, তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এছাড়াও আমরা সে চিঠি পেয়েছি শ্রম অধিদপ্তর থেকে। চিঠির নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ চলতেছে।

দেশের ১৬৬টি চা বাগানে পাঁচ লাখেরও বেশি শ্রমিক-কর্মচারী-কর্মকর্তা কাজ করেন। কয়েকটি চা বাগান ছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত চা বাগানসহ অধিকাংশ বাগানে চা পাতা তোলার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন শ্রমিকেরা।