সবকিছু ফেল করে বিএনপি এখন উল্টো বলছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

সবকিছুতে ফেল করে বিএনপি এখন উল্টো কথা বলছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন। এর আগে মন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।

ধারণা ছিল নির্বাচনের পর বিদেশিদের সম্পর্কে ভাটা পড়বে। আপনার কি মনে হচ্ছে- এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা চাপে পড়বো কেন? আমাদের দেশ স্বাধীন দেশ। বঙ্গবন্ধুর নীতি ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে শত্রুতা নয়’ আমরা ফলো করছি। আমরা মনে করি সবাই আমাদের বন্ধু। কেউ যদি অন্য কিছু মনে করেন সেটা সম্পর্কে আমাদের কিছু বলার নেই।

বিএনপি বলেছে আওয়ামী লীগ বিদেশিদের ওপর ভর করে ক্ষমতায় এসেছে- এ বিষয়ে আসাদুজ্জামান খান বলেন, আপনারা দেখেছেন তারা বিদেশিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন, স্যাংশন দিয়ে ফেললো, কত কিছু করে ফেললো। সবকিছুতে ফেল করে তারা এখন উল্টো কথা বলছেন। তারা কত কিছু করলো, আমাদের নিয়ে কত কিছু করার জন্য কত দেশের হাতে পায়ে ধরলো। সবকিছু ফেল করে তারা এখন আবার- পুনঃ মুষিক ভব (আবার ইঁদুর হও-প্রচলিত একটি গল্পের বাক্য)। এগুলো হাস্যকর বিষয়।

সামনে কি চ্যালেঞ্জ রয়েছে- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমার কাছে কোনো চ্যালেঞ্জ নেই। আমি মনে করি প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ সুন্দরভাবে এগিয়ে চলছে। এটি কন্টিনিউ হবে।

বিদেশ থেকে চাপ আসতে পারে বলে কি সরকার মনে করছে- এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমি তো দেখছি না, আপনি কোথায় দেখছেন আমি জানি না। আমাদের কাছে কোনো চাপ নেই।

সারাদেশে এটি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে- এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আলোচনায় অনেকে অনেক কিছুই বলে। সেই সব আলোচনার কোনো মানে নেই।

ভারতের হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএসএফ ও বিজিবি সম্পর্কটা যাতে আরও ভালো হয়, সে বিষয়ে বলা হয়েছে। তাদের সাইবার সিকিউরিটি, সাইবার ফরেনসিক নিয়ে আরও ট্রেনিং দেওয়ার জন্য বলেছি। তারা সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছেন। তাদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও কীভাবে ভালো করা যায়, সে বিষয়ে আলোচনা করেছি।

তিনি আরও বলেন, ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম, বর্ডার ক্রাইম, অরগানাইজড ক্রাইম- এগুলো যত কমানো যায়, এটা নিয়ে যাতে ইন্টেলিজেন্স শেয়ারিং হয় সেগুলো নিয়ে আমরা কথা বলেছি। এগুলো নিয়ে সবসময় আমরা কথা বলে থাকি। ভারতের সাপোর্ট আমরা সবসময়ই পেয়ে থাকি।

ভিসা জটিলতা নিয়ে কোনো কথা হয়েছে কি না- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, তারা আমাদের আগেই জানিয়েছিলেন তাদের স্টাফ-অফিসার কম, সেজন্য তারা অ্যাপয়েন্টমেন্টটা একটু দেরিতে দিচ্ছেন। তারপরও তিনি (হাইকমিশনার) জানালেন ২০২৩ সালে ১৬ লাখের বেশি লোককে তারা নতুন ভিসা দিয়েছেন, একদিনের সর্বোচ্চ সাত হাজার পর্যন্ত ভিসা দিয়েছেন।

আসাদুজ্জামান খান বলেন, আমাদের দেশের মানুষের বৈষয়িক সামর্থ্য বেড়েছে, সেজন্য তারা অ্যাফোর্ড করতে পারে, বিদেশে যায়। কেউ ভারতে যায় বেড়াতে, কেউ যায় চিকিৎসায়, কেউ যায় পড়াশোনা করতে। সবকিছু মিলিয়েই ২০২৩ সালে ১৬ লাখের বেশি মানুষকে ভিসা দিয়েছে। ভবিষ্যতে তারা এটাকে আরও সহজ করার কথা চিন্তা-ভাবনা করছে।