সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ নির্মূল করা সব থেকে বেশী প্রয়োজন ।। মনোরঞ্জন নন্দী

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
আজ লেখতে বসে কেবলই ভাবছি কি লেখবো গতানুগতিক একই কথা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে লেখতে হচ্ছে হয় না। কিন্তু ঈদের আনন্দোৎসব বলে কথা। এবার সরকার ছুটি করিয়ে দেয়াতে চাকরিজীবীরা মহা আনন্দে ছেলে-মেয়ে, স্ত্রী, মা-বাবাকে কিছু দেয়ার জন্যে কেনাকাটা শেষ করেছে। বিশেষ করে যাদের বাড়ি অনেক দূরে। আরও আনন্দে খবর ঈদের আগে প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করলেন ঢাকা চট্টগ্রাম ও জয়দেবপুর ময়নসিংহ চার লেন জাতীয় মহাসড়কের।
প্রধানমন্ত্রী বললেন, সামনেই ঈদ। ঢাকা মহানগরীতে বসবাসকারী অধিকাংশ কর্মজীবী মানুষ ঈদের ছুটিতে যাবেন গ্রামগঞ্জে, নিজ বাড়িতে। মহাসড়ক দুটি চারলেনে উন্নীত করার ফলে এই রুটে যাতায়াতকারী ঘরমুখো মানুষের ভ্রমণ আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় নির্বিঘ্ন ও সহজ হবে ইত্যাদি।

এছাড়া আগের তুলনায় এবার যানবাহন যাতায়াতের রাস্তা অনেক ভালো। মোটকথা সবপেশার মানুষই স্বাচ্ছন্দে ঈদের আনন্দোৎসব করবেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় গত ০১ জুলাই ২০১৬ গুলনা-২ নম্বরের ৭৯ নম্বর সড়কে হলি আর্টিজন বেকারি নামের এই রেস্তোরায় রাত পৌনে নয়টার দিকে জঙ্গি হামলায় সারাদেশের মানুষ একেবারে স্তম্ভিত। পাশাপাশি সারা বিশ্বের জনগণসহ সরকার প্রধানগণ জঙ্গি হামলার ঘটনায় বিস্মিত।
ঈদের মহোৎসবের মধ্যে শোকের ছায়ায় ঢেকে গেল সারাদেশের মানুষের মুখ। এ দুঃখ বেদনা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। এমনিতেই গত কয়েক মাস থেকে একের পর এক হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটছে অদ্ভূতভাবে এবং প্রায় হত্যাকা-ের ধারাবাহিকতার সূত্র ধরে যে যাই বলুক এসব হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা নিষিদ্ধ ধর্মান্ধ জঙ্গিগোষ্ঠী সন্ত্রাসী তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তারা সক্রিয় হয়ে উঠছে এবং ক্রমশ: দেশব্যাপী বিস্তৃতি লাভ করছে তার প্রমাণ দিয়েছেন দেশের সচেতন, দক্ষ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

এর আগেও লেখেছি, স্বাধীনতার পর থেকেই ষড়যন্ত্রকারীরা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত যাতে বাঙালি জাতি মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে। সেজন্য একদিকে উন্নয়নের দিকে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে আর একদিকে অলৌকিকভাবে দেশের সম্পদ ধ্বংস হচ্ছে। শুধু তাই নয় অপরাধীরা নানা কৌশলে দেশে অস্থিরতার সৃষ্টি করেছে এবং এমন এক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল সাধারণ মানুষ পর্যন্ত চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে ছিল। তখনও সন্ত্রাসীদের সঙ্গে মোকাবেলা করেছেন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
গত কয়েক মাস থেকে একের পর এক গুপ্তহত্যার শিকার হন, ব্লগার, প্রকাশক, লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ, রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী এবং অসংখ্য মানুষকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়। পাশাপাশি চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, অপহরণ, সব মিলিয়ে দেশে একটা ত্রাসের সৃষ্টি হয়েছিল। তখনও সন্ত্রাসীদের দমন করেছিল আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তারা যথেষ্ট সবল এবং যে কোনো দুর্যোগের মোকাবেলা করার ক্ষমতা আছে। শুধু দেশে নয় বিদেশও তারা প্রমাণ করেছে।
এদেশে যত অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে সব ঘটনা বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মনে করলেও কিন্তু সম্প্রতি যে ঘটনাগুলো ঘটছে তাতে আর বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলার সুযোগ নেই। কারণ জঙ্গি সন্ত্রাসীরা দেশে চরম অস্থিতিশীল সৃষ্টি করেছে। তারা এখন দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার জন্য সংখ্যালঘু হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানের উপাসনালয় ও মন্দিরের মূর্তি ভাংচুর সহ পরিবারের উপর হামলা, নির্যাতন, প্রাণনাশের হুমকি, এমনকি হত্যা করতেও দ্বিধা সঙ্কোচ করছে না। সম্প্রতি রাজশাহী নগরীর একটি ব্যাংকের জনৈক হিন্দু মহিলা কর্মকর্তা (নিরাপত্তার কারণে নাম প্রকাশ করছি না) পদ্মা আবাসিক এলাকার মধুচন্দিমায় বসবাস করেন।

প্রতিদিনের মতো গত ১০ জুলাই আনুমানিক সকাল সাড়ে ৬টায় প্রতিবেশী চার পাঁচজন মহিলার সঙ্গে হাঁটছিলেন। রাস্তার মাঝখানে তিনটি মোটরসাইকেলে দুইজন করে বসেছিল, একটি মোটরসাইকেল থেকে একজন অশ্লীল ভাষায় বলল, ‘ওই যে মাথায় সিঁদুর দেওয়া হিন্দু মহিলা।’ পেছনের লোকটি ধারালো চাঁপাতি বের করে মারার জন্য এগিয়ে এলে হিন্দু মহিলা কর্মকর্তা আতঙ্কে চিৎকার করে দৌড় দিলে আশপাশ থেকে লোকজন দৌড়ে এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
কথা প্রসঙ্গে জনৈক ভদ্রলোক দুঃখ করে বললেন, ‘অনেক ত্যাগ তিতিক্ষার পর স্বাধীনতা পেয়েছি। এতকাল বেশ ভালো ছিলাম। ছোট থেকে বড় হয়েছি জাতিভেদ বুঝিনি। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অটুট ছিল। অর্থাৎ ঈদ পূজোর উৎসব পালন করেছি পারিবারিকভাবে। বিপদ আপদে পরস্পরের সাহায্য সহযোগিতায় এগিয়ে গেছি। কিন্তু কোথা থেকে কে উস্কিয়ে দিয়েছে যে কেউ কাউকে বিশ্বাস করতে পারছি না। মনে হচ্ছে সব অসুস্থ্য। কারো সাথে ঝগড়া বিবাদ নেই, রাজনীতি করি না। অথচ হঠাৎ একটি চিঠি পেলাম। তাতে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়া হয়েছে। আমার মত আরও অনেককেই দেয়া হয়েছে। সাহস করে কাউকে বলতে পারছি না। ফলে ভীষণ উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় আছি। আমার এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বললেন, এসব কথা গণমাধ্যমের কর্মীরা শুনলে প্রচার করবে। তাতে আমার উপকার হবে কি? এমনিতেই বাড়ির সকলে শঙ্কিত, কখন কি হয় তা ঈম্বরই জানে ইত্যাদি।’
খোঁজ করলে হয়তো জানা যাবে উক্ত ভদ্রলোকের মতো হিন্দু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে অনেকেই প্রাণ নাশের হুমকি পাওয়ার পর থানা এবং গণমাধ্যমের কর্মীদের জানায় নি। শঙ্কিত হলেও ঈশ্বরের উপর ছেড়ে দিয়ে মনকে শান্তনা দিয়েছেন।
আসলে যে যেভাবে দেখে, তবে বর্তমান যা ঘটছে তাতে শঙ্কিত হতেই হয়। কারণ ধারাবাহিকভাবে দুর্বৃত্তদের শিকার হচ্ছে যারা তাদের মধ্যে অধিকাংশ মানুষের কোনো দলীয় পরিচয় নেই। তারা সাধারণ গরীব, নিরীহ মানুষ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আদর্শ লালন করেন যারা এবং বিদেশী অর্থাৎ যারা বাংলাদেশে বিভিন্ন কাজে এসেছেন- তাদেরকে হত্যা করার চেষ্টা করছে।

এর মূল কারণ হয়তো আমার মনে হয় জঙ্গি সন্ত্রাসীরা বাংলাদেশ অকার্যকর দেশ হিসেবে বিশ্বকে দেখাতে চায়। যাতে কখনোই আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে প্রতিষ্ঠিত হতে না পারে। কিন্তু তাদের ষড়যন্ত্র অনেকাংশে নৎসাত করেছে সচেতন দক্ষ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের গোপন ঘাটিতে হামলা করে বিপুল আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি, বোমা এবং বোমা বানানো সরঞ্জামাদি সহ জঙ্গিদের আটক করতে সক্ষম হয়েছে।
সত্যি কথা বলতে কি, দেশে একের পর এক ধারাবাহিকভাবে অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটার পরও বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলেই মনকে শান্তনা দেয়া হয়েছে। গুরুত্ব সহকারে সাধারণ মানুষ ভেবেছে বলে মনে হয়নি। তার অর্থ এই নয় যে, তাদের অপতৎপরতার বিষয়ে কেউ সজাগ ছিল না। কিন্তু তারা গোপনে সংগঠিত হয়ে বিপুল অস্ত্র গুলি বোম নিয়ে গুলশানের মত অভিজাত রেস্তোরায় সকলকে জিম্মি করে হত্যা করার কথা কখনো কল্পনাও করা যায়নি বলেই হয়তো এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটলো।
আসলে দুর্বৃত্তরা সব সময় সুযোগের অপেক্ষায় থাকে। তার প্রমাণ পাওয়া গেল গুলশানের ঘটনায়। গুরুত্বপূর্ণ একটি অভিজাত রেস্তোরায় মাত্র সাতজন জঙ্গি ‘আল্লাহু আকবর’ ধ্বনিতে তলোয়ার উচিয়ে বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভয়াবহ পরিবেশের সৃষ্টি করে সকলকে জিম্মি করে। বোমায় নিহত হন দুই পুলিশের কর্মকর্তা এবং একজন দেশী সহ ১৯ জন বিদেশী জিম্মি করে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। এমন নজিরবিহীন হত্যাকা-ে স্তম্ভিত সারাদেশের মানুষই নয় প্রতিবেশী বন্ধু দেশ ভারত সহ সারা বিশ্বের সরকার প্রধানগণও। তাঁরা তাৎক্ষণিকভাবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে হত্যাকান্ডের সমবেদনা জানিয়ে এ দুঃসময়ে বাংলাদেশের পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন। শুধু তাই নয়, তাঁরা জঙ্গি মোকাবেলায় পাশে থাকার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।
দুঃখের বিষয় এই হৃদবিদারক হত্যাকা-ের রেস না কাটতেই ৭ জুলাই শোলোকিয়ায় সকালে ঈদগাহের কাছে জঙ্গিদের বোমা হামলায় কয়েকজন আহত নিহত হয়। এসব নজিরবিহীন ঘটনা আর ছোট করে ভাবার অবকাশ নেই। স্বাভাবিকভাবেই শঙ্কিত হতে হয়। আমি মনে করি এ দুঃসময় কাঁদা ছোড়াছুড়ি না করে সামাজিকভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতা করা বিশেষ প্রয়োজন এবং ৭১-এর মতো সম্মিলিতভাবে জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রতিটি পাড়ায় প্রতিরোধ গড়ে তোলা দরকার।

সময় থাকতে তাদের বিরুদ্ধে রুখে না দাঁড়ালে জঙ্গি সন্ত্রাসীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হবে। তখন কারো কিছু করার থাকবে না।
মনে রাখা দরকার জঙ্গি সন্ত্রাসী হিসেবে যাদের কথা বলছি তাদের বয়স ২৫-৩০ বছর। তারা ষড়যন্ত্রের শিকার। অর্থাৎ উগ্র ইসলামি ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে মেধাবী ছাত্রদের মগজ ধোলায় করার কারণেই হৃদয়বিদারক নাশকতা কর্মকা-ে লিপ্ত। তারা আমাদেরই সন্তান। তার প্রমাণ আবারও পাওয়া গেল। আগে থেকে পারিবারিক ভাবে সচেতন হলে এমন উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তান পথভ্রষ্ট হওয়ার সুযোগ পেত না। যে কোনো সময়ের থেকে বর্তমানে অনেক বেশি সচেতন গণমাধ্যমের কর্মীরা।

তাদের মাধ্যমে নিত্য নৈমিত্তিক যত ঘটে যাওয়া ঘটনার কথা জানছি- ততোই বিস্ময়ে বিস্মিত হচ্ছি। গুলশানের অভিজাত রেস্তোরা এবং শোলোকিয়ায় হামলার পর রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনটি জঙ্গি হামলার সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। উক্ত বিদ্যালয়ে পড়তে আসা উচ্চবিত্ত ঘরের শিক্ষার্থীদের সুকৌশলে উগ্র মৌলবাদী কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত করার জন্য ‘মগজ ধোলায়’ করা হয়। ওইসব সন্তানরা ডুবে যায় ধর্মের নামে অন্ধকার জগতে। তারা ৬-৭ মাস প্রশিক্ষণ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে সাধারন মানুষের ওপর। ধর্মের নামে মানুষ হত্যা করলে বেহেস্ত পাওয়া যাবে- এমন ধারণা থেকে তারা এই জগতে পা বাড়াচ্ছে। তাদেরকে ঘূর্ণাক্ষরেও জানতে বা বুঝতে দেয়া হয় নাÑ সব ধর্মের মূল কথা শান্তি মানবতা।
এসব কারণেই উন্মুক্ত কণ্ঠে স্বীকার করতে হয়- সত্যিকারের ইতিহাস পড়ি না। ইতিহাস পড়ার চর্চা পরিবারে থাকলে হয়তো সন্তানরা উগ্র আদর্শের না হয়ে মুক্তমনের মানুষ হতো। সুতরাং আর কোনো সন্তান যেন পথভ্রষ্ট না হয় সেজন্য পারিবারিকভাবে সচেতন হতে হবে। নিজ নিজ স্থান থেকে আশ্রয়-প্রশ্রয় না দিয়ে তাদের অপকর্মের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। শুধু তাই নয়, নিজ পরিবারেও বাঙালির সুস্থ্য সংস্কৃতি চর্চা করা বিশেষ প্রয়োজন। আমি মনে করি সন্ত্রাস জঙ্গিবাদরা যাতে এদেশের মাটিতে দাঁড়াতেনা পারে সেজন্য সচেতন থাকা দরকার এবং ধর্ম আর রাজনীতি আলাদা করতে হবে। সুস্থ্য সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমেই জন্ম থেকে প্রজন্ম উগ্র আদর্শ থেকে সড়ে এসে সত্যিকার সুশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া এবং মানবতা মমত্ব বা সৌহার্দ্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির আদর্শ লালন করে বেড়ে উঠবে। এ প্রসঙ্গে বিশিষ্ট নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) এম সাখাওয়াত হোসেনের কথাই উল্লেখ করছি।
গুলশানে রেস্তোরায় জঙ্গিদের নজিরবিহীন হামলায় ২০ জন হত্যার পর বিশিষ্ট সাংবাদিক মাসুদ করিম প্রশ্ন করেছিলেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) এম সাখাওয়াত হোসেনকে।

তিনি বললেন, এটি একটি আদর্শিক হামলা। যারা উগ্র আদর্শে বিশ্বাস করে তারা তাদের মতো করে সমাজকে দেখতে চায়। তারা রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করে, সমাজকে বিভক্ত করে। এভাবে তারা বিশ্বব্যাপী প্রচার চালানোর লক্ষ্যে কাজ করে। এটা একটা সুইসাইড মিশন। এ মিশনে তারা বিশ্বজুড়ে যে প্রচার চেয়েছিল, সেই প্রচার তারা পেয়েছে। তারা বোঝাতে চেয়েছে বাংলাদেশ একটি বিপদজনক দেশ। আমরা সরাসরি সম্প্রচার করে এ কাজে তাদের সহায়তা করছি। আইএস সুইট করে বলেছে ২০ জনকে হত্যা করেছে। ফলে যারা হত্যা করেছে তাদের সঙ্গে আইএসের আদর্শিক কোনো যোগাযোগ আছে কিনা সেটাকে সরকার কিভাবে ব্যাখ্যা করবে তাই এখন দেখার বিষয় (যুগান্তর, ৩ জুলাই ২০১৬)।

লেখক: কলাম লেখক, নাট্যকার, গল্পকার।