সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ দমন নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক: ভারতের নয়াদিল্লিতে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ-ভারত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক। এতে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমন নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।

বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও ভারতের পক্ষে দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং নেতৃত্ব দেবেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বাংলাদেশ-ভারত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের বিষয়ে আগে থেকে একাধিক এজেন্ডা নির্ধারণ করেছে মন্ত্রণালয়। এগুলো হলো- দুই দেশের পলাতক জঙ্গিদের হালনাগাদ তালিকা হস্তান্তর, অস্ত্র ও মাদক চোরাচালান, সীমান্ত হত্যা, সীমা চুক্তি বাস্তবায়নের অগ্রগতি, ভারতীয় জালরুপি চোরাচালান বন্ধসহ বেশকিছু এজেন্ডা। এ ছাড়া দুই দেশের সন্ত্রাসী ও জঙ্গিরা যেন সীমান্ত পার হয়ে এক দেশ থেকে আরেক দেশে ঢুকতে না পারে, সে বিষয়েও আলোচনা করা হবে।

সম্প্রতি ভারতে পলাতক সন্ত্রাসী ও জঙ্গিদের একটি তালিকা হস্তান্তর করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ভারতে পলাতক জেএমবি নেতা সালাউদ্দিন ওরফে সালেহীন, বোমা মিজান ও মাহফুজ ওরফে হাতকাটা মাহফুজকে ধরতে ভারতের কাছে সহযোগিতা চাওয়া হবে। এ ছাড়া বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারতে আটক শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন, মোল্লা মাসুদ, সাজ্জাদ হোসেন, বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমেদসহ আটজনকে ফেরত চাওয়ার কথা রয়েছে।

অন্যদিকে, বাংলাদেশের কারাগারে বন্দি দাউদ ইব্রাহিমের ভাতিজা ও সঙ্গীত পরিচালক গুলশান কুমার হত্যা মামলার আসামি আবদুর রউফ দাউদ মার্চেন্ট, আরিফ হোসাইন, মুম্বাইয়ের ডন ছোট শাকিলের সহযোগী জাহিদ শেখকে ফেরত চাইতে পারে ভারত। এ ছাড়া জঙ্গি সংগঠন আসিফ রেজা কমান্ডো ফোর্সের নেতা মুফতি ওবায়দুল্লাহ ওরফে হাবিবুর রহমান ও ভারতের জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই তাইয়েবা নেতা মাওলানা মনসুর আলী ওরফে হাবিবুল্লাহকে ফেরত চাইবে ভারত।

বৈঠকের বিষয়ে মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছিলেন, বাংলাদেশ-ভারত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠকে সীমান্ত সমস্যা, অস্ত্র ও মাদক চোরাচালান এবং সীমান্ত হত্যাসহ বিভিন্ন নিয়মিত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়ে থাকে। এ ছাড়া জঙ্গি বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।বুধবার বাংলাদেশ-ভারত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের নেতৃত্বে ১৪ সদস্যদের একটি প্রতিনিধি দল নয়াদিল্লি গেছেন। আগামী ৩০ জুলাই দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

গত ১৮ জুলাই বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান বন্দিবিনিময় চুক্তির সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। ভারত সরকারের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৩ সালের ২৩ অক্টোবর স্বাক্ষরিত দ্বিপক্ষীয় এ ধারাটি সংশোধনের অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।

সংশোধিত অনুচ্ছেদ বলা হয়েছে, বাংলাদেশ-ভারতের কোনো নাগরিকের বিরুদ্ধে বিচারিক আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে যেকোনো দেশ যদি ওই আসামিকে ফেরত চায়, তাহলে তাকে ফেরত দিতে হবে। আগে বন্দি বিনিময়ের ক্ষেত্রে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার পাশাপাশি যথেষ্ট প্রমাণাদির প্রয়োজন ছিল। এখন এ বিধান শিথিল করে শুধু পরোয়ানা জারি থাকলেই হবে।

 

সূত্র: রাইজিংবিডি