সন্ত্রাসবাদ নিয়েও আলোচনা হবে আইপিইউ সম্মেলনে

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

১৩২টি পার্লামেন্টারি প্রতিনিধি দলসহ মোট ১৬৪টি প্রতিনিধি দল নিয়ে শনিবার থেকে ঢাকায় শুরু হচ্ছে ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন (আইপিইউ) এর ১৩৬তম সম্মেলন। এতে ৮২টি দেশের স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকাররা যোগ দিচ্ছেন। এই সম্মেলন বিভিন্ন দেশের জনপ্রতিনিধিদের বন্ধন সুদৃঢ় করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। এই সম্মেলনে সন্ত্রাসবাদ নিয়েও আলোচনা হবে বলেন জানান তিনি।

 

আইপিইউ সম্মেলন নিয়ে শুক্রবার (৩১ মার্চ) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটি নিয়ে আলোচনা হবে। শুধু সামরিকভাবে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা করাটা ঠিক হবে না। জঙ্গিবাদের মূল কারণগুলো কী, অর্থাৎ আমরা রোগের দিকে তাকাবো, নাকি সিম্পটমের দিকে তাকাবো, নাকি রোগটা কেন হচ্ছে- সেই জায়গায় আমরা দৃষ্টি দিতে চাই।  সেখানে পার্লামেন্টের ভূমিকা কী হবে সেটি আমরা দেখবো।’

 

তিনি জানান, জঙ্গিবাদের ক্ষেত্রে সরকার যা করছে তার বাড়তি হিসেবে সংসদরা কী করতে পারে সেটি নিয়ে আইপিইউ তাদের কৌশল স্থির করবে।

 

স্পিকার আরও জানান, পাঁচদিনের এই সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘বৈষম্য বিলোপ করে সবার জন্য মর্যাদা ও কল্যাণ নিশ্চিত করা’। আইপিইউ এর ১৩৮ বছরের ইতিহাসে এবারের অনুষ্ঠানটি হবে গ্রিন কনফারেন্স এবং এবারের অনুষ্ঠানে আইপিইউ ওয়েব টিভি উদ্বোধন করা হবে। এবারের অনুষ্ঠানে ১৬৪টি প্রতিনিধি দল অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে ১৩২ সংসদীয় প্রতিনিধি দল। বাকিরা পর্যবেক্ষক ও সহযোগী প্রতিষ্ঠান।  এতে ৪৫ জন স্পিকার এবং ৩৭ জন ডেপুটি স্পিকার অংশ নেবেন।

 

গণতন্ত্রকে সুসংহত করা, সংসদীয় গণতন্ত্রের রীতিনীতি চর্চার ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের জনপ্রতিনিধিদের বন্ধন সুদৃঢ় করার ক্ষেত্রে আইপিইউ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলেও জানান তিনি।

 

আইপিইউ এর চেয়ারম্যান সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘শক্তিশালী গণতন্ত্রের প্রতি বাংলাদেশের যে প্রতিশ্রুতি সেটি এ অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে আবার ব্যক্ত করলো বাংলাদেশ।’ আইপিইউ এর মহাসচিব মার্টিন চুংগংও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

 

জানা গেছে, আইপিইউ এর পিস অ্যান্ড ইন্টান্যাশনাল সিকিউরিটি স্ট্যান্ডিং কমিটি ’সার্বভৌম রাষ্ট্রের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে বাইরের শক্তির হস্তক্ষেপ প্রতিরোধে সংসদের ভূমিকা বিষয়ে একটি খসড়া প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করবে। বাংলাদেশের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ অব্যাহতভাবে পাকিস্তান আমাদের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলিয়ে যাচ্ছে।

সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন