সঞ্চয়পত্র থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা নেবে সরকার

 

করোনার মহামারী সঙ্কটকালে জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট উত্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

সঙ্কটের মধ্যে বিশাল অঙ্কের এই বাজেটে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৮২ হাজার ১৬ কোটি টাকা। এই বাজেটে মোট ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। যা মোট জিডিপির ছয় শতাংশ। প্রায় দুই লাখ কোটি টাকার এই বিশাল অঙ্কের ঘাটতি পূরণে সরকার সঞ্চয়পত্র থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা নেবে।

বৃহস্পতিবার বিকালে অর্থমন্ত্রী তার বাজেট ঘোষণায় এই তথ্য জানিয়েছেন।

প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া করবহির্ভূত ও অন্যান্য আয়ের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৪৮ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে করবহির্ভূত রাজস্ব আহরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ হাজার কোটি টাকা এবং কর ব্যতীত প্রাপ্তির পরিমাণ ৩৩ হাজার ৩কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বাজেটে মোট ঘাটতির পরিমাণ এক লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। যা মোট জিডিপির ৬ শতাংশ। বিশাল এই ঘাটতি মেটাতে সরকার বৈদেশিক ঋণ নেবে ৮০ হাজার ১৭ কোটি টাকা। যা চলতি (২০১৯-২০, সংশোধিত) বাজেটে ৫২ হাজার ৭০৯ কোটি টাকা ছিল।

নতুন অর্থবছরে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে সরকার এক লাখ ৯ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। এরমধ্যে ব্যাংক খাত থেকে ৮৪ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকার বিশাল আকারের এই ঋণ নেবে। ব্যাংক থেকে দীর্ঘমেয়াদি হিসেবে ঋণের পরিমাণ থাকবে ৫৩ হাজার ৬৫৪ কোটি টাকা, আর স্বল্পমেয়াদি ঋণ থাকবে ৩১ হাজার ৩২৬ কোটি টাকা।

এছাড়া অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে ২০ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেবে সরকার। আর অন্যান্য ব্যাংকবহির্ভূত খাত থেকে ৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেয়ার চিন্তা করা হয়েছে।