সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের শহীদ কামারুজ্জামান স্মৃতিস্তম্ভ ও জাদুঘর নির্মাণের স্থান পরিদর্শন


নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীতে জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান স্মৃতিস্তম্ভ ও জাদুঘর নির্মাণে জায়গা পরিদর্শন করেছেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা। বৃহস্পতিবার দুপুরে মহানগরীর কাদিরগঞ্জে শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান সমাধি প্রাঙ্গণ এলাকা পরিদর্শন করেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. শামীম খান ও জাতীয় জাদুঘরের কীপার (ইতিহাস) নুরে নাসরীন ও অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

এ সময় শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামানের সুযোগ্যপুত্র রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন তাদের জায়গাটি ঘুরে দেখান।

পরিদর্শনকালে গণপূর্ত অধিদপ্তর ঢাকার নির্বাহী প্রকৌশলী সোহেল মাহমুদ, রাজশাহী গণপূর্ত বিভাগ-১ এর উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী এএম ইফতেখার মজিদ. রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. নজরুল ইসলাম, স্থাপত্য অধিদপ্তরের সিনিয়র সহকারী স্থপতি সুমন বিশ^াস, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মাহফুজুল আলম লোটন, ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মমিন, ১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন আনার, মাননীয় মেয়রের একান্ত সচিব মো. আলমগীর কবির, সার্ভেয়ার রক্তাভো রহমান রোকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে জায়গা পরিদর্শনের পূর্বে জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামানের কবর জিয়ারত করেন রাসিক মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. শামীম খানসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

এ সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শহীদ কামারুজ্জামান সহ জাতীয় চার নেতা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়াধীন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর কর্তৃপক্ষ ‘জাতীয় চার নেতার স্মৃতিস্তম্ভ ও জাদুঘর নির্মাণ প্রকল্প’ বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ লক্ষ্যে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ এঁর জন্মস্থান গাজীপুরের কাপাসিয়া, শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামানের সমাধিস্থল কাদিরগঞ্জ, কিশোরগঞ্জে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও সিরাজগঞ্জে শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী স্মৃতিস্তম্ভ ও জাদুঘর নির্মাণে জায়গা পরিদর্শন করা হয়েছে। আগামী ৩১ জানুয়ারি সংসদীয় কমিটির সভায় প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হয়। এরপর একনেক সভায় অনুমোদনের পর প্রকল্পটির বাস্তবায়ন কাজ শুরু হবে।

স/জে