সংঘর্ষে জয়পুরহাট রণক্ষেত্র, বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক :
আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় জয়পুরহাট সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগ নেতা ইফাতকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, বিকেলে জয়পুরহাট শহরের পাঁচুর মোড়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

বিএনপির অভিযোগ, এসময় জয়পুরহাট জেলা বিএনপির কার্যালয়ের আসবাবপত্র, জানালা ও দরজা ভাঙচুর করেন জেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা।

জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন জানান, বিকেলে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা শহরের প্রধান সড়কে শান্তি মিছিল শেষে দলীয় কার্যালয়ে সমাবেশে একত্রিত হচ্ছিলাম। এসময় রেল লাইনের পশ্চিম পাড় থেকে পাথর নিক্ষেপ করা হচ্ছিল বিএনপির পদযাত্রা থেকে। আর তখনই ইট-পাথরের আঘাতে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম সৈকত, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজা, জেলা যুবলীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক রাহাত, পৌর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি বর্ষণ, পৌর ছাত্র লীগের সভাপতি আবু কাহাত, জয়পুরহাট সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের কর্মী ইফাতসহ ১২ জন আহত হন।

জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালের ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার ডা. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ সংঘর্ষে বিকেল থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় ইফাত নামে একজনকে বগুড়ায় পাঠানো হয়েছে।

এদিকে জয়পুরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলজার হোসেন বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিকেলে শহরের নতুন হাট থেকে আমরা একটি পদযাত্রা বের করি। পদযাত্রা শেষে বারোঘাটি পুকুর হয়ে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে যাচ্ছিলাম, এসময় রেল লাইনের পূর্ব পাড় থেকে বিনা উসকানিতে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন। এতে আমাদের ১৩ জন আহত হন। এছাড়া পুলিশের রাবার বুলেটে জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আবু রাইহান উজ্জ্বলসহ মোট ২৫ জন আহত হন।

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জেলা বিএনপির অফিসে ভাঙচুর চালান বলেও অভিযোগ তার।

এ বিষয়ে জয়পুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীর জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ পাঁচ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় এখনো থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি।