সংখ্যালঘু হিন্দুদের সেরা কলেজে পড়ার সুযোগ দেবে ভারত

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে ভারতে আসা সংখ্যালঘু হিন্দুদের ছেলেমেয়েরা যাতে দেশের সেরা মেডিক্যাল ও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলোতে ভর্তির সুযোগ পায়, তার জন্য বিশেষ কোটার কথা ঘোষণা করেছে ভারত সরকার।

প্রতিবেশী দেশ থেকে আসা ‘নির্যাতিত ধর্মীয় সংখ্যালঘু’দের জন্য ভারত যে একের পর এক নতুন সুযোগসুবিধার কথা ঘোষণা করছে, এই মেডিক্যাল ও ইঞ্জিনিয়ারিং কোটা তাতে সবশেষ সংযোজন।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই কোটায় যারা আবেদন করবেন তাদের কোনও প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসতে হবে না – তারা শুধু ১০+২ স্তরের পরীক্ষায় যে ফল করেছেন তার ভিত্তিতেই এই সব কলেজে ভর্তি হতে পারবেন।

এই শিক্ষাবর্ষে শুধু অবশ্য মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজগুলোতেই ভর্তির সুযোগ মিলবে, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়া যাবে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে।

সরকার বলছে, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে আসা হিন্দুদের জন্য ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয় মিলে এই বিশেষ কোটার ব্যবস্থা করেছে।

২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে এই সব ‘নির্যাতিত সংখ্যালঘু’দের ছেলেমেয়েরা যে সব মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হতে পারবেন, তার মধ্যে দেশের সেরা চিকিৎসা-কেন্দ্র হিসেবে স্বীকৃত দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস বা এইমস-ও রয়েছে।

এইমস ছাড়াও এই তালিকায় লেডি হার্ডিঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ, সফদরজং হাসপাতাল-সহ মোট কুড়িটি মেডিক্যাল কলেজ ও দুটি ডেন্টাল কলেজও আছে।

এর প্রায় প্রতিটিতেই ভর্তির জন্য ভারতীয় ছাত্রছাত্রীদের খুব কঠিন প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসতে হয় – লক্ষ লক্ষ ছাত্রছাত্রী এই পরীক্ষা দিলেও মাত্র কয়েকশোজনই শেষ পর্যন্ত ভর্তির সুযোগ পান।

কিন্তু বাংলাদেশ বা পাকিস্তানের হিন্দু – সেই সঙ্গে বৌদ্ধ বা শিখরাও – শুধু নির্দিষ্ট ফর্মে আবেদন করেই সেখানে ভর্তির সুযোগ পেয়ে যেতে পারবেন।

তবে ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে মেডিক্যাল কলেজগুলোতে ভর্তি হতে চাইলে আবেদন করতে হবে এ বছরের ১৯শে আগস্টের মধ্যে।

২০১৪-তে ভারতে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দিল্লির ঘোষিত নীতি হল – প্রতিবেশী দেশ থেকে হিন্দু-বৌদ্ধ-শিখরা ধর্মীয় কারণে নির্যাতিত হয়ে ভারতে এলে তারা স্বাগত।

ফলে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে এসে যে হিন্দুরা দীর্ঘ সময় ধরে ভারতে থাকছেন তারা এ সুযোগ পাবেন – কিন্তু সেটা বাংলাদেশ বা পাকিস্তান থেকে কোনও মুসলিম নাগরিক এলে তার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।

এমনকী ২০১৪-র ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে যারা এসেছেন তাদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছে সরকার।

সূত্র: বিবিসি বাংলা