সংখ্যালঘু বলে কিছু নেই, আমরা সবাই বাঙালি : ধর্ম প্রতিমন্ত্রী


নিজস্ব প্রতিবেদক :
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো: ফরিদুল হক খান, এমপি বলেছেন, বাংলাদেশে সকল ধর্মের মানুষ বসবাস করে। এখানে সংখ্যালঘু বলে কিছু নেই, আমরা সবাই বাঙালি। মুক্তিযুদ্ধের সময় সব ধর্মের মানুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এ দেশ স্বাধীন করেছে। সংখ্যালঘু বললে অন্যদের অসম্মান করা হয়। কাজেই ধর্মীয় সম্প্রীতি যাতে নষ্ট না হয় সে ব্যাপারে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক দেশ।

আজ মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) দুপুরে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতা বৃদ্ধিকরণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় আন্তঃধর্মীয় সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন ধর্ম যার যার উৎসব সবার। আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বলা হয়েছিল সকল ধর্মের মানুষ সমঅধিকার পাবে। সেটা আমরা অনেকটাই বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। আমরা মডেল মসজিদ, গির্জা, মন্দিরসহ ধর্মীয় অনেক প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছি। সকল ধর্মই আমাদের কাছে সমান।
তিনি বলেন, ফিৎনা-ফাসাদ, দাঙ্গা-হাঙ্গামা হত্যার চেয়েও কঠিন অপরাধ। আমরা সবাই উদার হতে পারছি না। প্রত্যেক ধর্মেই বলা আছে আপনার প্রতিবেশী খেতে পাচ্ছে কিনা সেটার খোঁজ নেয়া, যাতে সম্প্রীতি তৈরি হয়।

ফরিদুল হক খান আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাম্প্রদায়িক শান্তির কথা বলে গেছেন। আমাদের রাষ্ট্রীয় চারটি নীতির একটি নীতিও সে কথাই বলে। প্রধানমন্ত্রী সেই নীতিতে কঠোর অবস্থানে আছেন।

এবারের হজ প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এবার পূর্ণাঙ্গ হজ হবে। প্রায় ১ লক্ষ ২৭ হাজার মুসল্লি এবার হজ করতে যাবেন। বিমান ভাড়া এবং সৌদী সরকারের আবাসন সুবিধা বৃদ্ধির কারণে হজের টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। হজ করার পর যদি দেখা যায় টাকা কম খরচ হয়েছে, তবে হাজিদের টাকা ফেরত দেয়া হবে। প্রত্যেক মুসল্লি যাতে সুন্দরভাবে হজের ফরজ পালন করতে পারে সে বিষয়ে খেয়াল রাখা হবে বলে তিনি জানান।

সরকারের গত ১৪ বছরের বিভিন্ন উন্নয়ন তুলে ধরে তিনি দল-মত নির্বিশেষে সকলের সহযোগিতায় দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার জন্য কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে আরও দায়িত্বশীল হওয়ার পরামর্শ দেন।

জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দীন, বিশেষ পুলিশ সুপার (নগর বিশেষ শাখা) মুহাম্মদ আব্দুর রকিব, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু সালেহ মো: আশরাফুল আলম বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।