মঙ্গলবার , ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ১২ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

সংক্ষিপ্ত নয় পুরো সিলেবাসেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা

Paris
ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২২ ১০:৫২ পূর্বাহ্ণ

মাত্র তিনটি বিষয়ে পুনর্বিন্যস্ত (সংক্ষিপ্ত) সিলেবাসে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেওয়া হলেও বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির ক্ষেত্রে পুরো সিলেবাসেই নেওয়া হবে পরীক্ষা। ইতোমধ্যে মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজগুলোয় শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে পুরো সিলেবাসে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার ক্ষেত্রে কোনো সিলেবাস নেই। জিএসটি গুচ্ছভুক্ত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিসংক্রান্ত (২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ) টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক বলছেন, এইচএসসি ও সমমানে ভর্তিচ্ছুরা কোন সিলেবাস পড়েছে তা ভর্তি পরীক্ষার ক্ষেত্রে বিবেচ্য হওয়া উচিত নয়।

শিক্ষাবিদরা বলছেন, পুরো সিলেবাসেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা হওয়া উচিত। কারণ অল্প সিলেবাসে পরীক্ষা নিতে গেলে প্রশ্নপত্র প্রণয়নের ক্ষেত্রেও অনেক বিপত্তির সম্মুখীন হতে হবে কর্তৃপক্ষকে। এতে মেধাবীদের বাদ পড়ার শঙ্কা থাকে। তা ছাড়া এইচএসসি ও সমমানে সব মিলে পরীক্ষা হয়েছে অনেক গোঁজামিলের মধ্য দিয়ে। উচ্চমাধ্যমিকের পুরো সিলেবাস আয়ত্ত না করলে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের অনেক বিষয় ছাত্র-ছাত্রীরা বুঝতে পারবে না। ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত এখনো না নিলেও পুরো সিলেবাসে পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষেই মত দিয়েছেন অধিকাংশরা।

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. এ কে এম আহসান হাবীব বলেন, মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে (এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সে) শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে পুরো সিলেবাসেই পরীক্ষা নেওয়া হবে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদফতর, বিএমডিসিসহ ভর্তি পরীক্ষাসংক্রান্ত স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, পুনর্বিন্যস্ত সিলেবাসে পরীক্ষার বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা উঠলে আগের মতো পুরো সিলেবাসে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যাপারে মত পোষণ করেন উপস্থিতরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান গতকাল বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত কোনো সিলেবাস নেই। ছাত্র-ছাত্রীরা যে শিক্ষাক্রম অনুসরণ করেছে তার ভিত্তিতেই সাধারণত পরীক্ষা হয়। কোন ভিত্তিতে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করা হবে তা অনুষদ ডিনেরা নির্ধারণ করবেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির বলেন, কীভাবে, কোন মানদণ্ডে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা হবে তা একাডেমিক কাউন্সিলে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মার্চে ভর্তি পরীক্ষা বিষয়ে সভা হবে বলে জানান তিনি।

জিএসটি গুচ্ছভুক্ত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিসংক্রান্ত (২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ) টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় নির্ধারিত আসনের তুলনায় ভর্তি পরীক্ষায় অনেক বেশি শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এ পরীক্ষা অনেকটা নির্ধারিত আসনের বেশি ছাত্র-ছাত্রীদের বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়া। তাই এইচএসসি ও সমমানে ভর্তিচ্ছুরা কোন সিলেবাস পড়েছে তা বিবেচ্য হওয়া উচিত নয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিজেদের মতো করেই পরীক্ষার আয়োজন করবেন। জিএসটি গুচ্ছভুক্ত পরীক্ষা কমিটির বৈঠকে পুরো সিলেবাসে পরীক্ষার পক্ষে তিনি মত দেবেন বলেও জানান।

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁঁইয়া বলেন, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন করে। কোন সিলেবাসে হবে তা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জানান, পুরো সিলেবাসে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যাপারেই অধিকাংশ মত দেবেন। শিগগিরই বৈঠক করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, পুরো সিলেবাসেই বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা হওয়া উচিত। কারণ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির কোর্সগুলো এমনভাবে সাজানো যে উচ্চমাধ্যমিকের পুরো সিলেবাস আয়ত্ত না করলে অনেক বিষয় ছাত্র-ছাত্রীরা বুঝতে পারবে না। শিক্ষার্থীদের পুরো প্রস্তুতি নিয়েই পরীক্ষায় বসতে হবে।

এই শিক্ষাবিদ আরও বলেন, মাত্র তিনটি বিষয়ে খুবই স্বল্পপরিসরের সিলেবাসে পরীক্ষা দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা এইচএসসি পাস করল। তারা বাংলা, ইংরেজির মতো ফাউন্ডেশন বিষয়গুলোও পড়েনি। যেগুলোয় পরীক্ষা হয়েছে সেখানেও ছিল শুভঙ্করের ফাঁকি। কারণ নয়টি প্রশ্নের মধ্যে শিক্ষার্থীদের দু-তিনটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে। ফলে পরীক্ষার্থীরা সংক্ষিপ্ত সিলেবাস আরও সংক্ষিপ্ত করে পড়েছে। সব মিলে পরীক্ষা হয়েছে অনেক গোঁজামিলের মধ্য দিয়ে। ভর্তি পরীক্ষার আগ পর্যন্ত এই সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের পুরো সিলেবাসের প্রস্তুতি নিতে হবে।

 

সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন

সর্বশেষ - শিক্ষা