ষড়যন্ত্রকে আমি ভয় পাই না: জায়েদ খান

শেষ পর্যন্ত বিজয়ের হাসি হাসলেন অভিনেতা জায়েদ খান। আদালতের রায়ে তিনি তার পদ ফিরে পেয়েছেন। শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত এই সাধারণ সম্পাদকের কাছে এ বিষয়ে জানতে চেয়েছেন – আলাউদ্দীন মাজিদ

অবশেষে আপনিই বিজয়ী, অনুভূতি কেমন?
সব কথার শেষ কথা হলো সত্যের জয় হয়েছে।   আমার বিরুদ্ধে সীমাহীন ষড়যন্ত্রের পরও আদালত আমার পক্ষে যে রায় দিয়েছে তাতে আমি সরকার, আদালত এবং দেশের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞ। সবার ভালোবাসা ও দোয়ার প্রতিদান আমার এই বিজয়।

আপনাকে বৈধতা দিয়ে হাই কোর্টের দেওয়া রায় গতকাল স্থগিত করেছে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। এ প্রসঙ্গে কী বলবেন?

আমি বরাবরই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমি জানি ন্যায়বিচার অবশ্যই পাব। কারণ নির্বাচন কমিশন ও পরে আপিল বিভাগের পুনঃগণনায় আমিই জয়ী হয়েছি। তাই আদালতের ওপর আমার আস্থা রয়েছে।

চলচ্চিত্রের ১৮ সংগঠন আপনাকে বহিষ্কার করেছে, এ বিষয়ে বলুন?

এটি হাস্যকর। কারণ এখানে ১৮ সংগঠন কোথায়? পরিচালক সমিতির প্যাডে যদি সমিতির সভাপতি সোহান স্বাক্ষর করেন তা কি বিধিসম্মত হয়। পরিচালক সমিতির মহাসচিব শাহীন সুমন এক বিবৃতিতে বলেছেন এ বিষয়ে তিনি একমত নন। প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন উজ্জ্ব¡লও বলেছেন আমার ছবি সিনেমা হলে চালাবেন না এমন সিদ্ধান্ত তারা নেননি, কারণ এটি যুক্তিসংগত নয়। তাছাড়া শিল্পী সমিতি তো ১৮ সংগঠনের মধ্যেই আছে, শিল্পী সমিতি কি আমাকে বহিষ্কার করেছে? প্রযোজক সমিতিতে তো নির্বাচিত কমিটি নেই। প্রশাসক চালাচ্ছে ওই সমিতি, তাহলে একজন সোহানের একক সিদ্ধান্তে কি ১৮ সংগঠন চলে? আসলে সোহান আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান থেকেও নিপুণের পক্ষ নিয়ে যে অবৈধ কাজ করে আসছেন তা আড়াল করার জন্যই এখন নতুন এই হাস্যকর নিষেধাজ্ঞা। যার কোনো মূল্য নেই। শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে চলচ্চিত্র জগতের এই অস্থিতিশীলতার দায়ভার সোহান ও মো. হোসেনের।

এখন কি পরিস্থিতি স্থিতিশীল?
নির্বাচিত কমিটি শপথ গ্রহণ করেছে। এখন তো আর অস্থিরতার কিছু দেখছি না। তারপরও ষড়যন্ত্র চলবে। আমার কাজ ও জনপ্রিয়তা তাদের ঈর্ষার কারণ। গত দুই মেয়াদে করোনাকালের মধ্যেও জীবনের মায়া ছেড়ে করোনা আক্রান্ত ও অসহায় শিল্পীদের পাশে দাঁড়িয়েছি। তারপরও আমার বিরুদ্ধে যত ষড়যন্ত্রই হোক আগামীতেও শিল্পীদের কল্যাণে আমার উন্নয়ন কাজ অব্যাহত থাকবে। আমি ষড়যন্ত্রকারীদের ভয় পাওয়ার মানুষ নই।

 

সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন