শেয়ারবাজারে টানা বড় দরপতন

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্য সূচকের বড় পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। এর মাধ্যমে টানা দুই কার্যদিবস বড় দরপতন হলো শেয়ারবাজারে।

এদিনের মতো আগের দিনও পতনের তালিকায় নেতৃত্ব দেয় ব্যাংক ও আর্থিক খাত। লেনদেনের শুরু থেকেই একের পর এক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমতে থাকে। এই খাতের পতনের প্রবণতা চলে লেনদেনের শেষ পর্যন্ত।

ফলে দিনের লেনদেন শেষে ১৪টি ব্যাংক পতনের খাতায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম বেড়েছে ৫টির। আর আর্থিক খাতের একটি প্রতিষ্ঠানও দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখাতে পারেনি। এ খাতের ১৬টি কোম্পানির শেয়ার দাম কমেছে।

ব্যাংক ও আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর এই দরপতনের মধ্যে দাম বাড়ার তালিকায় দাপট দেখিয়েছে বীমা কোম্পানিগুলো। তালিকাভুক্ত ৪৯টি বীমা কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৪৩টিরই শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৩টির।

বীমা কোম্পানিগুলোর দাম বাড়ার ফলে সার্বিক পতনের তালিকা কিছুটা ছোট হয়েছে। সব খাত মিলে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১১০টি প্রতিষ্ঠান। বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৮টির। আর ১০৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এতে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক আগের দিনের তুলনায় ৫০ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৫৯৯ পয়েন্টে নেমে গেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ৩৪ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১২৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর ডিএসইর শরিয়াহ্ সূচক ১১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৫৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

মূল্য সূচকের বড় পতনের পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৭১৮ কোটি ২২ লাখ টাকা। যা আগের দিন ছিল ৮২৩ কোটি ১০ লাখ টাকা। এ হিসেবে লেনদেন কমেছে ১০৪ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।

টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ১৪০ কোটি ১৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকোর ৫৪ কোটি ৪১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ৪০ কোটি ৫৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে ডিএসইতে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- রবি, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস, এনার্জিপ্যাক পাওয়ার, সামিট পাওয়ার, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল এবং এস এস স্টিল।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই কমেছে ১৭৮ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২৭ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৩৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬৮টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১১১টির এবং ৫৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

 

সুত্রঃ জাগো নিউজ