শেষ সময়ে রাজশাহীর আতর-টুপির দোকানে ক্রেতাদের ভিড়

নিজস্ব প্রতিবেদক:

আজ চাঁদ দেখা মানেই কাল ঈদ। এক মাস সিয়াম সাধনা করে সারা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর জন্য প্রার্থনা করা হবে ঈদের জামাতে। নতুন পাঞ্জাবি,পাজামা, টুপি আর সুগন্ধি ব্যবহার করে পবিত্র ঈদের সালাত আদায় করে কুশল বিনিময় করবে ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা।

ঈদের কেনাকাটার পর্বও চুকিয়ে ফেলেছেন বেশির ভাগ মানুষ। এখন সবাই ভিড় জমাচ্ছেন আতর, টুপি আর জায়নামাজের দোকানে। আতর, টুপি আর জায়নামাজের পাশাপাশি সুরমা এবং তসবিহও কিনছেন অনেকে।

বড় বিপণি বিতান থেকে শুরু করে ফুটপাতের দোকানে দোকানে এখন আতর-টুপি কেনার ভিড়। নগরীর সাহেব বাজার, জিরোপয়েন্ট, নিউমার্কেট এর বিভিন্ন দোকনে পাওয়া যাচ্ছে ঈদের নামাজে ব্যবহৃত এসব উপকরণ।

মঙ্গলবার নগরীর সাহেব বাজার এলাকার বিভিন্ন বিপণিবিতান আর ফুটপাত ঘুরে দেখা যায়, ঈদের নামাজের এই অনুসঙ্গগুরো কিনতে ভীড় করছেন ক্রেতারা।

আর সব বয়সের ক্রেতার চাহিদাকে মাথায় রেখে নিজেদের সম্ভার সাজিয়েছেন দোকানিরা। আর্কষণীয় নকশা আর নানা কারুকার্যে সুসজ্জিত টুপির প্রতি ক্রেতাদের আর্কষণ বেশি। দেশী পণ্যের পাশাপাশি চাহিদা বাড়ছে বিদেশী পণ্যেরও। বিশেষ করে বিদেশী আতরের প্রতি চাহিদা দেখা গেছে ক্রেতাদের।

দোকানিরা জানালেন, নকশা ও কারুকার্যের মান ভালো হওয়ায় এবার দেশি টুপির চেয়ে বিদেশি টুপি বেশি কিনছেন ক্রেতারা। সিকদার জরি হাউজ ও আতর হাউজের মালিক রকি সিকদার জানালেন, দেশি গোল টুপি ৫০ থেকে ৩৫০টাকাসহ বিভিন্ন মূল্যের টুপি বিক্রি হচ্ছে। বিদেশী গুলোর মধ্যে জর্ডানী টুপি ১৫০ টাকা, পাকিস্থানী টুপি ৩০০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা, নেপালী টুপি ২৫০ টাকা এবং গুজরাঠী টুপি পাওয়া যাচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকার মধ্যে।

সাধারণত ঈদেই আতরের চাহিদা থাকে সবচেয়ে বেশি। ঈদের দিন মন মাতানো ঘ্রান আর সুবাস ব্যবহার করতে আতরের বিকল্প নেই। তাই শুধু ঈদ নয় নিত্যদিনেও ব্যবহার করা জন্য আতর কিনে নিয়ে যাচ্ছেন ক্রেতারা।

ঈদকে সামনে রেখে সৌদি আরব, ফ্রান্স,দুবাই,পাকিস্তান জার্মানী এবং ভারত থেকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের আতর এসেছে এবারের ঈদ বাজারে। বিদেশি আতরের পাশাপাশি দেশি আতরের চাহিদাও রয়েছে বেশ।

নগরীর জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন ন্যাশনাল ব্যাংক মার্কেটের রফিক আতর হাউজের মালিক রফিকুল্লাহ জানান, এবারে দেশি আতরের মধ্যে রয়েছে মদিনা এবং তিব্বত চন্দন, ফেরদৌস, হাবিব রাজ দরবার,শাহী দরবার পাওয়া যাচ্ছে।  এছাড়া দুবাই এবং সৌদি আতর সিফাত, সাফিনা, লামহা, রওজ, ব্লুমুন, মুকাম্মাল, মারওয়া, জমজম, মুকাদ্দাস এবং আরফে জোহরা পাওয়া যাচ্ছে।

এসবের পাশাপাশি জায়নামাজ ও তসবিহ বেশ বিক্রি হচ্ছে বলে জানালেন অনেক দোকানি। এবারের ঈদ বাজারে বিভিন্ন দামি পাথরের তসবির চাহিদা বেশি।

ক্রেতা আনোয়ার হোসেন বলেন, ঈদের দিনে জায়নামাজ,আতর,টুপি, সুরমা এগুলো অবিচ্ছেদ্য উপকরণ। জায়নামাজ তো বাসায় আছে এখন বাচ্চার জন্য টুপি কিনে নিয়ে যাচ্ছি।

স/অ