‘শেষ যাত্রায়’ আয়রাকে দেখতে পেলেন না বাবা-মা

বাগাতিপাড়া প্রতিনিধিঃ
নানার বাড়ি নাটোরের বাগাতিপাড়া থেকে মা-বাবার সঙ্গে জীবনে প্রথমবারের মতো ঢাকায় যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত সেই আয়রা মণি’র দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার বিকালে করোনা সংকটের মধ্যে অনেকটা ছোট আকারে জানাজা শেষে তার নানার গ্রাম বাগাতিপাড়ার বারইপাড়ায় পারিবারিক গোরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।

তবে শেষ যাত্রায় শিশু সন্তানের মুখ খানা দেখতে পেলেন না আয়রা মণি’র বাবা-মা। সে সময় আয়রা মণি’র বাবা-মা মুমুর্ষূ অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিছানায় চিকিৎসাধীন ছিলেন। নানার বাড়ির স্বজনরায় তাকে সমাহিত করেন।

এদিকে গুরুত্বর আহত বাবা আতিকুর রহমান সুজন (৩২) ও মা জান্নাতুল নাঈম মিতু (২৬) কে বুধবার রাতে রাজশাহী থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালেও আয়রা মণির মা অচেতন ছিলেন। আয়রার নানার পরিবার সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

আয়রা মণি’র চাচাত নানা আঃ বারি জানান, বাবা-মায়ের প্রথম সন্তান হিসেবে জন্ম নেয়া আয়রা মণি জন্মের পর থেকে নানার বাড়ি বাগাতিপাড়াতেই ছিল। তারা বাবা আতিকুর রহমান সুজনের বাড়ি পার্শ্ববর্তী রাজশাহীর বাঘা উপজেলার মণিগ্রামে। তিনি আকিজ গ্রুপের কর্মকর্তা। বুধবার বাবার কর্মস্থল ঢাকায় যাওয়ার পথে দূর্ঘটনার শিকার হয়ে নিহত হয় সে। ছোট্ট শিশুটি তার বাবা-দাদার বাড়িও দেখতে পেল না। মাত্র চার মাস পূর্বে জন্ম নিয়ে এভাবে পৃথিবী ছেড়ে চলে যাওয়া যেন মেনে নিতে পারছেন না পরিবারের সদস্যরা।

উল্লেখ্য, বুধবার ভোরে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া-হাটিকুমরুল-ঢাকা মহাসড়কের রেজুর মোড় এলাকায় দুটি প্রাইভেট কারের মুখোমুখি সংঘর্ষে আয়রা মণি নিহত হয়। ওই দূর্ঘটনায় প্রাইভেট কারে থাকা তার বাবা-মাসহ ৫ জন আহত হন।

স/অ

আরো পড়ুন…

নানা বাড়ি বাগাতিপাড়া থেকে ঢাকা যাওয়া হলোনা শিশু আয়রা’র