রাজশাহীতে শেষ মুহূর্তে ব্যবসায়ীদের দম ফেলার ফুরসত নেই!

নিজস্ব প্রতিবেদক :
আগামীকাল সারা বাংলাদেশে পালিত হবে মুসলমানদের সবথেকে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর।

আর এই ঈদুল ফিতরকে ঘিরেই শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে রাজশাহীর ঈদ বাজার।

(সোমবার ২ মে) সকাল থেকে রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন মার্কেট ও বিপণী বিতান গুলোতে দেখা গেছে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। তারা তাদের পছন্দের পোশাক দেখছেন ও কিনছেন। শুধু বড় বড় দোকান গুলোতেই নয়। সাধ ও সাধ্যের মধ্যে কেনাকাটায় জমে উঠেছে ফুটপাতের দোকানেও।

এ বছর ছেলেদের পছন্দের তালিকায় জিন্স প্যান্ট, প্রিন্টের শার্ট, পাঞ্জাবি ও কাবলি সেট।

আর মেয়েদের পোশাকের মধ্যে সারাড়া-গাড়ারা এবং কাঁচা বাদাম, সাদা বাদাম, সাদা পরী, লাল পরি, পুস্পা পোশাকের চাহিদা রয়েছে ব্যাপক। তবে ক্রেতাদের মধ্যে নারী ও শিশুরাই বেশি।

ক্রেতাদের পছন্দের বিষয় মাথায় রেখেই নতুন মডেলের পোশাক সংগ্রহ করেছেন দোকনিরা। ছেলেদের সুতি কাপড়ের পাঞ্জাবি ১৫০০ টাকা থেকে শুরু করে সাড়ে ৭ হাজার টাকা, বাচ্চাদের পোশাক ৫০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা। মেয়েদের ক্ষেত্রে ভারতীয় পোশাক সারাড়া-গাড়ারা, লেহাঙ্গা, ডিভাইডার ও থ্রি-পিস, কাঁচা বাদাম, ভাজা বাদাম, সাদা পরী, লাল পরি, পুস্পা দাম ৭৫০ টাকা থেকে ৫০০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।

নগরীর ডিঙাডোবা এলাকা থেকে আরডিএ মার্কেটে বাজার করতে আসা ফরহাদ শেখ বলেন, নিজের জন্য দুটি শার্ট নিয়েছি ২৫০০ টাকায়। গতবারেন এই শার্টগুলো ২ হাজারের মধ্যে হয়ে গিয়েছিলো। কিন্ত মনে হচ্ছে বাজারে কাপড়ের দাম অনেক।

রানীনগর থেকে মার্কেট করতে আসা ফারহানা বলেন,বাজার শুনেছি নতুন জামা নাকি কাঁচা বাদাম এসেছে। জামাটি দেখার আগ্রহ থেকেই মার্কেটে আসি। সর্বশেষ সেটি কিনেও ফেলেছে বেশ ভালো লাগছে।

সুমাইয়া তাবাসসুম বলেন, বাড়ির জন্য মার্কেট করতে এসেছি। এবার ঈদটা অনেক ভাল এবং আনন্দের হবে। পরিবারের সবার জন্য পোশাক কিনছি।

আরডিএ মার্কেটের পোশাক বিক্রেতা হাসান জানান , গত দুই বছর করোনার কারণে মহাজনরা তেমন ব্যবসা করতে পারেনি। তাই আমরা ভাল ভাবে বেতন-ভাতা পাইনি। এবার করোনা নাই, দোকানে অনেক ক্রেতারা আসছে, বেচা-বিক্রিও বেশি, আশা করি ঈদও আমাদের ভাল হবে।

অপর ব্যবসায়ী মাসুল আলী জানান, রমজানের শুরু থেকেই বেচা বিক্রি হচ্ছে। এবার ক্রেতারা এসে তাদের পছন্দের পোষাক কাঁচা বাদাম, সারারা, জারারা পোশাক খোঁজে। এগুলোর চাহিদা ও বেচা বিক্রি বেশ ভালো।

এদিকে ঈদের কেনাকাটা নির্বিঘ্ন করতে রাজশাহী মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। রাখা হয়েছে
সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পুলিশী টহল।

স/আর