শেষ দিনের পশুর হাটে হতাশা ক্রেতা-বিক্রেতাদের


সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

রাত পোহালেই ঈদ। তাই কোরবানির পশুর হাটগুলোতে শেষ মুহূর্তের বেচাকেনায় ব্যস্ত ক্রেতা-বিক্রেতারা। তবে দাম নিয়ে হতাশার সুর ক্রেতা-বিক্রেতা উভয় পক্ষেরই।

একদিকে বিক্রেতারা বলছেন- তারা শেষ সময়ে বিক্রির আশায় কম দামে পশু ছেড়ে দিচ্ছেন। আর বিক্রেতাদের বক্তব্য- শেষ সময়ে কিনতেই হবে এমন ভেবে বিক্রেতারা বেশি দাম হাঁকাচ্ছেন।

তবে বিপদে পড়েছেন রাজধানীর বিক্রেতারা। কারণ একদিকে তাদেরকে বিক্রি করতেই হবে, না হলে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে আবার ভাড়ার খরচ দিতে হবে। এছাড়া পশুগুলো ফেরত নিয়ে গেলে পরবর্তী ঈদ ছাড়া এসব পশুর উপযুক্ত ক্রেতাও পাওয়া যাবে না।

মঙ্গলবার সকাল থেকে নগরীর কোরবানির পশুর বিভিন্ন হাট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। এদিকে বৃষ্টিতে হাট এলাকা কাঁদামাটি আর পশুর মলমূত্রে একাকার হয়ে গেছে। হাটে বিক্রেতা থাকলেও ক্রেতাদের তেমন দেখা নেই।

পশু বিক্রেতাদের ভাষ্য, প্রত্যাশা অনুযায়ী দাম পাননি। তাতে যা আয় হয়েছে তা দিয়ে গরু লালন-পালনের ব্যয় উঠবে না বলেও আক্ষেপ করেন অনেকে।

অনেকেই আবার শঙ্কা প্রকাশ করে বলছেন, যে পরিমাণ ক্রেতা আছে তাতে পশুগুলো বিক্রি হবে বলে মনে হচ্ছে না।

তবে ঢাকার বাইরের চিত্র একটু ভিন্ন। রাজশাহীর বাগমারার একটি হাটে মামুন নামে এক ক্রেতা জানান, শেষ দিনের হাট হওয়ায় বিক্রেতারা গোঁ ধরে বসে আছে। যা দাম হওয়া উচিত তার চেয়ে অনেক বেশি দাম হাঁকাচ্ছেন বিক্রেতারা। ফলে বাধ্য হয়েই চড়া দামে কিনতে হচ্ছে কোরবানির পশু।

সূত্র: যুগান্তর