শূন্যে ভাসমান অবস্থায় জরুরি অস্ত্রোপচার, দৃশ্যধারণ, অতঃপর পৃথিবীতে ফেরা

সাড়ে তিন ঘণ্টার মহাকাশ ভ্রমণের পর একজন মহাকাশচারী এবং দুজন রাশিয়ান চলচ্চিত্র নির্মাতাকে বহন করা একটি সোয়ুজ স্পেস ক্যাপসুল আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে অবতরণ করেছে।

শনিবার শিডিউল সময় ১২টা ৩৫ (ইটি)-তে কাজখস্তানে অবতরণ করে ক্যাপসুলটি। এর আগে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল ভেদ করে লাল-সাদা ডোরাকাটা প্যারাশুটে চেপে নিচে নামে সেটি। এতে ছিলেন মহাকাশচারী ওলেগ নোভিতস্কি, অভিনেত্রী জুলিয়া পেরেসিল্ড এবং চলচ্চিত্র পরিচালক ক্লিম শিপেনকো।

পেরেসিল্ড এবং শিপেনকো ‘চ্যালেঞ্জ’ নামের একটি চলচ্চিত্রের ১২ দিনের কাজের জন্য ৫ অক্টোবর রকেট করে স্পেস স্টেশনে যান। পেরেসিল্ড অভিনয় করবেন একজন সার্জন চরিত্রে। যিনি একজন ক্রুকে বাঁচানোর জন্য মহাকাশ স্পেস স্টেশনে ছুটে যান। কক্ষপথেই হয় তাঁর জরুরি অস্ত্রোপচার। নোভিতস্কি, যিনি মহাকাশ স্টেশনে ছয় মাসেরও বেশি সময় কাটিয়েছেন, ‘চ্যালেঞ্জ’ সিনেমায় অসুস্থ মহাকাশচারী চরিত্রে অভিনয় করেন।

অবতরণের পর গ্রাউন্ড ক্রুরা ক্যাপসুল থেকে তিনজনকে বের করেন এবং মাধ্যাকর্ষণের টানে সামঞ্জস্য করার সাথে সাথে তাদের পাশে রাখা আসনে বসান। এরপর তাদের পরীক্ষার জন্য মেডিক্যাল টেন্টে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদের সুস্থ ও প্রফুল্ল দেখাচ্ছিল।

পেরেসিল্ড হাসলেন এবং সাদা ফুলের একটি বড় তোড়া গাতে নিলেন। এ সময় সাংবাদিকরা তার চারপাশে জড়ো হন। তিনি বলেন, তিনি সামান্য বিষণ্নতার ছোঁয়া অনুভব করছেন।

‘আজ মনটা একটু খারাপ। ১২ দিন মহাকাশ পরিভ্রমণ যথেষ্ট বড় ব্যাপার। তার পর যখন সব শেষ হয়ে গেল- আমার একেবারেই ফিরতে ইচ্ছে হচ্ছিল না’। স্টেট টিভিকে বলেন পেরেসিল্ড।

মেডিক্যাল টেন্টে স্থানান্তরপ্রক্রিয়া ১০ মিনিট বিলম্বিত হওয়ার ফাঁকে ক্রুরা আসনে বসে থাকা পেরেসিল্ড এবং নোভিতস্কির বেশ কটি ছবি তোলেন- যা সিনেমায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

ছবিটির মুক্তির তারিখ এখনো জানা যায়নি। পৃথিবীতে আরো কিছু দৃশ্যের শুটিং বাকি আছে।

মহাকাশ স্টেশনে আরো সাতজন নভোচারী রয়ে গেছেন, তাঁরা হলেন : রাশিয়ার আন্তন শাকপ্লেরভ এবং পিয়োতর দুব্রভ; আমেরিকান মার্ক ভান্ডে হেই, শেন কিম্ব্রো এবং মেগান ম্যাকআর্থার; ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার টমাস পেসকেট এবং জাপানের আকি হোশাইড।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ