শীতকালে আমলকি কেন খাবেন?

শীত দরজায় কড়া নাড়ছে। এসময় জ্বর,হজমের সমস্যাসহ নানা অসুখ দেখা দেয়। তাই নিজেকে সুস্থ রাখতে সবার আগে উচিত রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানো। আর সেজন্য কার্যযকরী হলো আমলকি। আমলকির গুণের কথা নতুন করে বলার কিছু নেই। তবুও চলেন জেনে নেওয়া যাক।

আমলকিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের পাশাপাশি ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, ক্যারোটিন, থায়ামিন, রাইবোফ্ল্যাভিন ও নিয়াসিন থাকে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে মানুষ দীর্ঘদিন ধরে আমলকি খেয়ে আসছে। বিশেষ করে শীতকালে আমলকি নিয়মিত খেলে উপকার পাওয়া যায়। সর্দি-কাশি সারাতে আমলকির জুরি মেলা ভার। আমলকিতে প্রচুর পরিমাণে ক্রোমিয়াম থাকায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ওষুধের পাশাপাশি রোজ দুটো করে আমলকি ডায়েটে রাখতে পারেন। ১০০ গ্রাম আমলায় প্রায় ৭০০ গ্রাম ভিটামিন থাকে। বলা হয় যে, কমলালেবুর চেয়ে অনেক বেশি ভিটামিন সি রয়েছে আমলায়। শরীরের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে ব্যাথা বেদনা কমিয়ে দেয় আমলকি।

ডায়াবেটিস ও ক্যান্সারের মহাষৌধ আমলকি:

আমলা এক হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে তার ঔষধি গুণের জন্য পরিচিত। এটি শুধুমাত্র সংক্রমণ, সর্দি-কাশি দূর করে না, ডায়াবিটিস, ক্যান্সার, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ এবং কিডনি সংক্রান্ত রোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করে। এমনকি চুল পড়ার সমস্যায়ও আমলা সমান উপকারী।

চুল ও ত্বকের যত্নে:

চুল এবং ত্বকের স্বাস্থ্য মজবুত রাখে আমলকী। চুলের গোড়া মজবুত করে পাশাপাশি খুশকি দূর করতে সাহায্য করে।

হজম শক্তি বাড়ায়:

আমলককি হজম শক্তি বাড়ায়।সেই সাথে কোষ্ঠকাঠিন্য অ্যাসিডিটি দূর করে। শীতকালে অনেকেরই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হয়। ভাল পরিমাণে আঁশযুক্ত আমলা হজমজনিত রোগ নিরাময়ের একটি দুর্দান্ত রেসিপি।

মুখের ভেতরে আলসার নিরাময়ে

শরীরের ব্যাথা বেদনা থেকেও মুক্তি দেয় আমলকি। আমলার মধ্যে আছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান, যা ব্যাথা কমাতে সহায়তা করে। মুখের ভেতরে আলসার হলেও আমলার রস জলে গুলে পাতলা করে তা দিয়ে গার্গল করলে উপকার পাওয়া যায়।

​আমলা খেতে পারেন এই উপায়ে

তাজা আমলকি:

আমলকি বাজার থেকে কিনে এনে ধুয়ে খেতে পারেন। এর অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে।

​আমলকির রস:

আমলকির রসের মধ্যেও তার যাবতীয় পুষ্টিগুণ বজায় থাকে। রোজ সকালে খালি পেটে আমলার জ্যুস খান। এতে যে শুধু ওজন কমবে তা নয়, সঙ্গে বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও।

আমলকির আচার:

ভাত-রুটির সঙ্গে একটু টক-ঝাল-মিষ্টি আমলকি খেতে চাইলে বেছে নিন আমলকির আচার। প্রতিদিন একবার করে খেতে পারেন এই আচার।

শুকনো করে:

আমলা টুকরো টুকরো করে কেটে তা শুকিয়ে নিয়ে খেতেও পছন্দ করেন অনেকে। এর মধ্যে সামান্য নুন আর গোলমরিচের গুড়ো ছড়িয়ে নিতে পারেন। এয়ারটাইট জারে এই শুকনো আমলকি দীর্ঘদিন পর্যন্ত রেখে দিতে পারেন।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ