শিবগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা করায় বাদী পক্ষকে প্রাণ নাশের হুমকি

ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি:
পারিবারিক কলহের জের ধরে সংঘর্ষের ঘটনার মামলা দায়ের করায় আসামীরা বাদী পক্ষকে প্রাণনাশসহ বিভিন্ন ধরণের হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

 

শিবগঞ্জ থানায় দায়েককৃত মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের পারচৌকা গ্রামে আসামী পক্ষের লোকজন রাজাকার ফজলুর রহমানের নেতৃত্বে মামলায় উল্লেখিত ১৫-২০ জন জোরপূর্বক বাদী আব্দুস সালামের বসত জমির উপর থাকা বাঁশ কাটার সময় বাদী সালাম ও তার পক্ষের লোকজন প্রতিবাদ করলে তাদের হাতে থাকা বিভিন্ন ধরণের দেশীয় অস্ত্র দিয়ে অর্তকিতে হামলা করায় বাদী আব্দুস সালাম সহ ৭-৮জন গুরুতর আহত হয়। এ সময় স্থানীয় লোকজন ঘটনা এসে তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। তারা চিকিৎসাধীন রয়েছে।

 

এঘটনায় ওইদিনই বিকালে আব্দুস সালাম বাদী হয়ে শিবগঞ্জ থানায় রাজাকার ফজলুর রহমানসহ ১৫ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে। মামলা নং- ২১৫, তারিখ ১৭ এপ্রিল ১৭।

 

বাদী আব্দুস সালামসহ আহতরা জানান, মামলা দায়েরের পর থেকে আসামী রাজাকার ফজলুর রহমান ও তার দলবল মামলা প্রত্যাহারের জন্য বিভিন্ন ধরণের হুমকী দিচ্ছে। সালাম, সালামের পরিবার ও ৭১ সালে নির্যাতিত পরিবারের সদস্য আফজাল, কামাল ও যুদ্ধাপরাধীর মামলার বাদী বুদ্ধুসহ অনেকেই জানান, ফজলুর রহমান ১৯৭১ সালে একজন কুখ্যাত রাজাকার ছিল এবং এলাকার স্বাধীনতা কামী অনেক মানুষকে পাকবাহিনীর সহায়তায় হত্যা করেছে।

 

শুধু তাই নয় অনেক নারীকে নির্যাতন করেছে এবং অনেকের বাড়িঘর পুড়িয়াছে। তার ছেলেরাও স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের সংগে আঁতাত করে ২০১৩-১৪ সালে পল্লী বিদ্যুৎ পুড়ানোসহ বিভিন্ন ধরণের রাষ্ট্রবিরোধী কাজ করেছে।

 

ফজলুর রহমান বিচারাধীন যুদ্ধাপরাধী মামলার একজন আসামী এবং বর্তমানে জামিনে আছে। এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই কামরুজ্জামানা জানান, মামলার পর আসামী পক্ষও একটি মামলা করেছে এবং উভয়পক্ষই জামিনে রয়েছে।

স/অ