শিবগঞ্জে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগে সার্জেন্ট ক্লোজড

নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ:

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ মহাসড়কের কলাবাড়ি নামক এলাকা থেকে মোটরসাইকেলের লাইসেন্স না থাকায় ১৫০ সিসি পালসার মোটরসাইকেল আটক করে ৪ হাজার টাকার বিনিময়ে ওই পালসার মোটরসাইকেলটি ছেড়ে দেয় সার্জেন্ট এস.এম শাহাদাত হোসাইন। এনিয়ে সার্জেন্ট শাহাদাতকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে।

ওই পালসার গাড়ির মালিক তোহিদুল ইসলাম পৌর এলাকার উপরটোলা গ্রামের বাসিন্দা।

অভিযোগ রয়েছে- মঙ্গলবার বিকেলে শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাট ইউনিয়নের কলাবাড়ি মোড়ে অভিযান চালায় সার্জেন্ট শাহাদাত। এসময় শিবগঞ্জগামী একটি ১৫০ সিসি পালসার মোটরসাইকেলের লাইসেন্স না থাকায় আটক করে সার্জেন্ট শাহাদাত।

এসময় মোটরসাইকেলের মালিক তোহিদুলের নিকট একটি জরিমানা রশিদ দিয়ে প্রথমে আড়াই হাজার টাকা উৎকোচ দাবি করে। সে উৎকোচের টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে শো-রুমের কাগজপত্র দেখাতে বলে। পরবর্তীতে সে শো- রুমের কাগজপত্র দেখানোর পরও দ্বিতীয় দফায় ৫ হাজার ১শ’ টাকা উৎকোচ দাবি করে।

নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে শিবগঞ্জের মের্সাস ফারিহা ট্রেডিং নামক একটি অটোরিকশার শো- রুমে ৪ হাজার টাকা ও সাথে জরিমানা রশিদ নিয়ে আসলে গাড়ি ছেড়ে দেবে বলে আশ্বাস দেয়। এসময় ওই অটোরিকশার শো-রুমে ৪ হাজার টাকা উৎকোচের বিনিময়ে ওই পালসার মোটরসাইকেলের চাবি মালিকের কাছে হস্তান্তর করে এবং জরিমানা সাময়িক প্রাপ্তির রশিদ সংশোধন করে দেয় সার্জেন্ট শাহাদাত।

এদিকে ওই পালসার মোটরসাইকেলের মালিক তোহিদুল ইসলাম বলেন- উক্ত সার্জেন্ট উৎকোচের ৪ হাজার টাকা পেয়ে সংশোধনকৃত জরিমানা সাময়িক প্রাপ্তির রশিদ আমার নিকট প্রদান করে এবং আমার পালসার মোটরসাইকেলটি ছেড়ে দেয়।

অপরদিকে কানসাট মিলিক মোড়ের সেতাউর রহমান জানান, কানসাট বাজারের বিভিন্ন মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়ে অবৈধ মোটরসাইকেল আটকের পর মোটা অংকের বিনিময়ে আটক করা মোটরসাইকেল ছেড়ে দেয়।

এছাড়া তিনি সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়েও বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশী চালায়। এব্যাপারে সার্জেন্ট এস.এম শাহাদাত হোসাইনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন।

অন্যদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর খলিলুর রহমান জানান, উক্ত সার্জেন্ট শাহাদাত হোসাইনকে মঙ্গলবার রাতেই পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে।

এদিকে ক্লোজড এর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে মোটরসাইকেলের মালিক, ট্রাক, বাস, মাইক্রো চালকের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে। অনেকেই মিষ্টি বিতরণ করতে দেখা যায়।

 

স/আ