শিবগঞ্জে ককটেল ফাটিয়ে গতিরোধ করে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক :
বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়নের সুন্দরপুর-নবাব মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আলম সুন্দরপুর-ঝাপড়াপাড়ার আবুল হোসেনের ছেলে। তিনি নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য এবং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ছিলেন।

পুলিশ জানায়, বেলা সোয়া ১টার দিকে আলম হোসেন ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় সুন্দরপুর-নবাব মোড় এলাকায় পৌঁছালে ৭-৮ জনের একটি দল ককটেল ফাটিয়ে তার গতিরোধ করে। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করা হয়। এরপর স্থানীয়রা আলমকে উদ্ধার করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত ইউপি সদস্যের চাচাতো ভাই কুতুবউদ্দিন বলেন, দুপুর ১টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন আলম। সন্দরপুরের বাবুপুর এলাকার নবাব মোড়ে পৌঁছালে ৭-৮ জন ককটেল ফাটিয়ে তাকে আটকানোর পর কুপাতে থাকে। এক পর্যায়ে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তারা চলে যায়। পরে অস্ত্রধারীরা চলে গেলে এলাকাবাসী আলমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ আনোয়ার রফিক বলেন, দুপুর আড়াইটার দিকে ইউপি সদস্যকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়। হাসুয়ার কোপে তার মাথায় রক্তক্ষরণ হয়েছে। এছাড়া ডান হাতে ও মাথায় একাধিক কোপের চিহ্ন ছিল।

নিহত আলমের স্ত্রী জুলেখা বেগম ও ভাই বাবু হোসেন অভিযোগ করে বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় স্থানীয় প্রভাবশালী জেলা পরিষদ সদস্য আবদুস সালামের নেতৃত্বে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

তবে আবদুস সালাম সেই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর একটি মহল হিংসায় তার দিকে দায় চাপিয়ে পার পেতে চাইছে।

শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) সুকোমল চন্দ্র দেবনাথ জানান, পূর্ব শত্রুতার জেরে আলমকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে কে বা কারা এই হত্যার সঙ্গে জড়িত তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

এর আগে গত রোববার (০৯ এপ্রিল) রাতে নৌকায় ভোট করার অভিযোগে ও ব্যবসায়ীক দ্বন্দের জেরে সদর উপজেলার সুন্দরপুরে মনিরুল ইসলামকে ককটেল ফাটিয়ে গতিরোধ করে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।