শিক্ষার্থী হলো শিক্ষকদের প্রাণ : আনন্দ কুমার সাহা


বাঘা প্রতিনিধি :
বরেন্দ্র বিদ্যালয়ের উপ-উপচার্য ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপচার্য আনন্দ কুমার সাহা বলেছেন, প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্টানের শিক্ষার্থী হলো শিক্ষকদের প্রাণ। মৃত এবং জীবিতদের আজ যে সম্মাননা দেওয়া হলো, এগুলো দেখে বা অনুকরণ করে কর্মরত শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা উদ্দিজীবিত হবে। আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রানিত করবে। বিদ্যালয়ের কর্মরত শিক্ষকরা শিক্ষাথীদের আইএ পাশ করিয়ে আমাদের কাছে পাঠান। আমরা তাদের মেধা ও শ্রম দিয়ে উচ্চ পর্যায়ে পৌছে দেওয়ার চেষ্টা করি।

এরমধ্যে অনেকেই প্রতিষ্ঠিত হয়ে রাজনৈতিক ও সামাজি এবং দেশ গড়ায় দায়িত্ব গ্রহণ করে। তারা সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সহযোগিতা করবে এইটা আমার প্রত্যাশা।

বাঘা উপজেলার বাজুবাঘা ইউনিয়নের বেলগাছি ঢাকা চন্দ্রগাথী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জমিদাতা, বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতা, বিদ্যালয়ের কর্মরত মরণোত্তর ও জীবিত শিক্ষকদের মাঝে প্রিয় শিক্ষক সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বেলগাছি ঢাকা চন্দ্রগাথী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাপ্তন শিক্ষার্থীদের আয়োজনে অনুষ্টিত ক্রেষ্ট প্রদান অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের প্রাপ্তন শিক্ষার্থী ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাড. লায়েব উদ্দিন লাভলুর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসার মুহা. আবদুল খালেক, বাঘা পৌরসভার মেয়র আক্কাছ আলী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ও জনসংযোগ বিভাগের প্রশাসক প্রফেসার ড. প্রদ্বীপ কুমার পান্ডে, শাহদৌলা সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবদুর রাজ্জাক, রাজশাহী কলেজের সহযোগী অধ্যাপক আনিসুজ্জামান মানিক।

অনুষ্ঠানে রাজশাহী বেতারের উপস্থাপক, নাট্যশিল্পী প্রতিবেদক, সংবাদ পাঠক ও রেডিও পদ্মার উপস্থাপক শহীদুল ইসলামের সঞ্চালনায় বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার জন্য যারা মেধা, শ্রম, সময়, এবং অর্থ দিয়ে সাহায্য করেছেন তাদের মধ্যে মরহুম আব্দুর রাজ্জাক সরকার, মরহুম আব্দুল জুব্বার প্রামানিক,  মরহুম আবুল কাশেম, মরহুম আবুল হাশেম, মরহুম আব্দুস ছামাদ, মরহুম আজিমুদ্দিন প্রামানিক, মরহুম জুমন সরকার, মরহুম আলাউদ্দীন মেম্বর, মরহুম মজির উদ্দিন ফকির, মরহুম জনাব আলী, মরহুম কলিমুদ্দিন, মরহুম খোরসেদ মন্ডল,  মরহুম মোল্লা প্রামানিক, আজাহার আলী, মরহুম তৈয়ব প্রামানিক, মরহুম মসলেম উদ্দিন প্রামানিক, মরহুম আজগর আলী, মরহুম হায়দার আলী, মরহুম নুর আলী, মরহুম জমসেদ প্রমানিক, মরহুম আবদুর রশিদ খোকা প্রামানিক, মরহুম মজাফর হোসন, মরহুম রসুল প্রামানিককে সম্মাননতা ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়।

এদিকে বিদ্যায়টি প্রতিষ্ঠার জন্য যারা জমি দান করেছে তাদের মধ্যে মরহুম আবদুল জলিল, মরহুম জমির উদ্দিন, মরহুম আবদুর রহমান, মরহুম আবুল হোসেনকে সম্মাননতা ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়।

এছাড়া বিদ্যালয়ের কর্মরত মরণোত্তর ও জীবিত শিক্ষকদের সম্মাননতা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়েছে মুহাঃ আবুল হাসেম (জীবিত), আমজাদ হোসেন (মরণোত্তর), শওকত আলী (জীবিত), রোকেয়া বেগম (জীবিত), নির্মল কুমার পান্ডে (মরণোত্তর), শাহজাহান আলী (মরণোত্তর), মরহুম আবু তাহের (মরণোত্তর), আরজেত আলী (বীর মুক্তিযোদ্ধা), আজিজুর রহমান (মরণোত্তর), মরহুম নওফেল উদ্দিন (মরণোত্তর), আব্দুল কুদ্দুস (জীবিত), সুলতান আহম্মেদ (জীবিত), মরহুম বলজুর রহমান, মরহুম নিজাম উদ্দিনকে।

অন্যদের মধ্যে রাখেন বাজুবাঘা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এ্যাড ফিরোজ আহম্মেদ রঞ্জু, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আবদুল কুদ্দুস প্রমুখ।