শিক্ষকের ভাইয়ের বিরুদ্ধে রাবি ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ, আটককৃত কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাবি:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে এক অধ্যাপকের ছোট ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৫ সেপ্টম্বর) গ্রেপ্তারকৃতকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ধরমপুর এলাকার যোজক টাওয়ার ভবন থেকে তাকে ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে আটক করে মতিহার থানা পুলিশ। পরে ওই ছাত্রী বাদী হয়ে অভিযুক্ত শ্যামল বণিককে আসামি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে অবস্থিত মতিহার থানায় শ্লীলতাহানীর মামলা করেন।

শ্যামল বণিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগের অধ্যাপক বিথীকা বণিকের ছোট ভাই। দীর্ঘদিন ধরে সে এই অধ্যাপকের বাড়িতে বসবাস করছেন। অধ্যাপক বিথীকা বণিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা হলের প্রাধ্যক্ষ হিসেবেও দায়িত্বে আছেন।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে অধ্যাপক বিথীকা বণিকের ছোট মেয়েকে পড়াতে গিয়েছিলেন। কিন্তু দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ও অধ্যাপকের শারীরিক অসুস্থতার কারণে ওই ছাত্রী রাতে অধ্যাপকের বাসাতেই থেকে যান। কিন্তু রাত দেড়টার দিকে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা হলে সমস্যা হওয়ায় অধ্যাপক বিথীকা বণিক তৎক্ষণাত হলে চলে আসেন। সকাল পর্যন্ত তিনি হলেই ছিলেন। এই সুযোগে শ্যামল বণিক ওই ছাত্রীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। পরে মেয়েটি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করলে মতিহার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করেন এবং শ্যামল বণিককে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

জানতে চাইলে অধ্যাপক বিথীকা বণিক বলেন, ‘মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে হলে একটা সমস্যা হওয়ায় তৎক্ষণাত আমি বাসা থেকে হলে আসি। রাতে আমি হলেই ছিলাম। সকালে বিষয়টি জানতে পারি।’

তিনি বলেন, ‘ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া জরুরি। যদি আমার ভাইয়ের দোষ থাকে তাহলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হোক এটাই আমার দাবি।’

মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, ‘শ্যামল বণিককে আজ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’

স/অ