শালীনতা বজায় রাখতে বলায় রাবি’র তিন শিক্ষার্থীকে মারধর, বহিরাগত আটক

রাবি প্রতিনিধি:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) পুকুর পাড়ে আপত্তিকর অবস্থায় বসতে নিষেধ করায় বহিরাগতদের হামলার শিকার হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির তিন শিক্ষার্থী। সোমবার (১ আগস্ট) বিকেলের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইবলিশ চত্বরের পাশে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এক বহিরাগতকে আটক করেছে পুলিশ।

আহত শিক্ষার্থীরা হলেন- মাসুম পারভেজ শান্ত, রাকিবুল হাসান সৌরভ, হাসিবুল হাসান শুভ‌। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসিবুলকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্র নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার পায়ে তিনটি সেলাই দেন।

এ ঘটনায় হামলাকারী একজনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। আটক মো. রফিক আলী নগরীর ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের দাসমারী স্কুল মোড়ের বাসিন্দা রুস্তম আলীর ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী মাঠে খেলা করছিলেন। তখন ইবলিশের পুকুর পাড়ে এক ছেলে এবং মেয়ে আপত্তিকর অবস্থায় বসে ছিল। তাদেরকে ভালোভাবে বসতে বললে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরপর রাবি শিক্ষার্থীরা বিষয়টি প্রক্টর অফিসে ফোন করে জানান। পরবর্তীতে পুলিশ এসে তাদের সরিয়ে দেয়। এঘটনার কিছুক্ষণ পর পাঁচ থেকে ছয়জন বহিরাগত ছেলে এসে তাদেরকে মারধর শুরু করেন। মারতে মারতে দুইজনকে একটি সাইকেলের উপর ধাক্কা মেরে ফেলে দেন। এতে ওই দুজনের পা কেঁটে যায়। পরবর্তীতে আহতদের বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়।

ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হাসিবুল হাসান শুভ‌ বলেন, তাদের ভালোভাবে বসতে বলার পর ছয়জন ছেলে এসে আমাদের মারতে শুরু করেন। আমি এবং শান্তকে মেরে সাইকেলের উপর ফেলে দেন হামলাকারীরা। তখন আমাদের পা কেটে যায়। আমার পায়ে তিনটি সেলাই করা হয়েছে। পরে তারা পালিয়ে যাওয়ার সময়, আমরা একজনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিই।

এ‌‌ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, শিক্ষার্থীরা একজনকে আটক করেন। পরে আমরা তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিই। শিক্ষার্থীরা আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দেন। পরবর্তীতে আমরা সেই অভিযোগ থানায় পাঠিয়ে দিয়েছি।

মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার আলী তুহিন বলেন, ছেলেটি পুলিশ হেফাজতে আছে। এখন পর্যন্ত কোন মামলা দায়ের করা হয়নি।

এএইচ/এস