শান্তির শহর রাজশাহী যেন অনিরাপদের দিকে ঝুঁকছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
নির্মল, দুষণমুক্ত শহর হিসেবে রাজশাহীর পরিচিতি আজ বিশ্বজোড়া। আর রাজশাহীর সিল্ক দেশের সুনামের গন্ডি পেরিয়ে ছড়িয়ে পরেছে সারা বিশ্বে।
রাজশাহী জেলা বিশেষ করে রাজশাহী শহর একইসাথে বিভিন্ন নামে পরিচিত, রেশম নগরী, শিক্ষা নগরী, আমের রাজধানী, সবুজ নগরী, শান্তির শহর অন্যতম।
তবে এই শান্তির শহরে হঠাৎ করেই যেন অশান্তির হানা বসতে চলেছে। ছুরি, ছিনতাই, জুয়ারমত আপরাধ মূলক কর্মকাণ্ড বেড়েছে শহর জুড়ে। নিরাপদ শহরটি যেন অনিরাপদের দিকে ঝুঁকে পড়ছে।
ঠিক এমনই একটি ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তুলে ধরেছেন রাজশাহী কলেজ শিক্ষার্থী সোহানুর রহমান সোহান। তার লিখাটি হুবহু তুলে ধরা হলো।

“!রাজশাহী শহর এখন আর সেফ জায়গা না!

গতকাল সন্ধার কথা বগুড়া থেকে এক বান্ধবী ইসলামী হাসপাতালে নার্সের ভাইভা দিতে রাজশাহী আসে। তালাইমারী থেকে কোর্ট যাবে বলে অটোতে উঠলে অটোতে থাকা ২ ছেলে যাত্রী এক ড্রাইভার তাকে বিভিন্ন রাস্তা ঘুরিয়ে ভার্সিটি এর মধ্যে নিয়ে গিয়ে মোবাইল এবং ব্যগ কেড়ে নিয়ে ছুড়িকাঘাতের চেষ্টা করলে সে বেঁচে ফিরেছে কোনমতে। ভার্সিটির বোটানি বিভাগের এক সম্মানিত শিক্ষক মহোদয় তাকে উদ্ধার করেন এবং আমরা গিয়ে তাকে নিয়ে আসি। অপরিচিতদের জন্য রাজশাহী এখন এক ভয়ের শহর হয়ে দাড়িয়েছে।

এগুলা কমানোর জন্য মেয়র মহোদয় এবং পুলিশ মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষন করছি। শুধু শহরের শোভা বর্ধন এর দিকে নজর না দিয়ে শহরকে সেফ জায়গা করার জন্য মেয়র মহোদয়ের দিকে তাকিয়ে রইলাম। ২০১২-২০ সাল অবদি মেসে/ বাসায় থাকেছি এমন ঘটনার শিকার হয়েছি এবং হতে দেখেছি কিন্তু এগুলার বিচার হয়না শুধু জিডি করে আমরা শান্ত হয় কারন অভিযোগে নাকি কোর্টের চর্কি কাটতে হয়। এগুলার বিচার আরো সহজ করার অনুরোধ থাকবে।”

এমন সব ঘটনায় রাজশাহীর স্থানীয়রা মনে করছেন, রাশাহীতে আগের তুলনায় লোকসংখ্যা বেশ বেড়েছে। তবে সেই অনুযায়ী আজো হয় নি কোন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা। উল্টো আগের বেশ কিছু কর্মসংস্থান বন্ধ হওয়া হওয়া পর্যায়ে। ফলে প্রতিনিয়ত চুরি, ছিনতাই, মাদক ব্যবসা ও জুয়ারমত অপরাধ মূলক কর্মকান্ডে সাথে সম্পৃক্ত হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের মানুষ।
এদিকে, নাম প্রকাশ না করা শর্তে নগরীর একাধিক বাসিন্দা ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বলেন, রাজশাহীতে আগে থেকেই তেমন কোন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নেই। করোনার কারণে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টান ছুটি থাকায় শহরে শিক্ষার্থীদের আনাগোনাও নেই। ফলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলোতে নেই আগের মত কর্মচাঞ্চল্য।
আবার যানজট কমাতে সীমিত অটোরিক্সার চলাচলে নিয়ম ও অবৈধ ভাবে ফুটপাতে ব্যবসা করায় উচ্ছেদ ও জরিমানা গুনতে হচ্ছে অনেক কে। ফলে বেকার হয়েছেন অনেক মানুষ। এসব বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া দরকার।
আপরদিকে, প্রতিনিয়ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ততপর থেকে টহল পরিচালনা করে যাচ্ছেন। প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে আরো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানাগেছে।