শান্তির অধিকারে আঘাত হেনেছে ইসলামি সন্ত্রাস: আমেরিকা

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক: অমরনাথ যাত্রীদের উপর জঙ্গি হামলার ঘটনার কড়া নিন্দা করল আমেরিকা৷মার্কিন সময় বুধবার একটি প্রেস বিবৃতি দেওয়া হয় হোয়াইট হাউসের তরফে৷ তাতে ঘটনার নিন্দা করে বলা হয়েছে, শান্তির অধিকারে আক্রমণ করেছে জঙ্গিরা৷সাধারণ মানুষের মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না৷সন্ত্রাসবাদ দমনে ভারতের পাশে আমেরিকা চিরকাল থাকবে বলেও ওই বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে৷

গত সোমবার অমরনাথ থেকে ফেরার পথে জঙ্গি হামলার কবলে পড়ে তীর্থযাত্রীদের একটি বাস৷ লস্কর-ই-তইবার অতর্কিত হামলায় মৃত্যু হয় সাতজন তীর্থযাত্রীর৷ এদের মধ্যে অধিকাংশই ছিল মহিলা৷এই ঘটনাকে কেন্দ্র ইতিমধ্যেই দেশের অভ্যন্তরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে৷এরই মাঝে বুধবার এই বিষয়ে সরব হল আমেরিকাও৷ বুধবার হোয়াই হাউসের তরফে দেওয়া প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কাপুরুষের মতো তীর্থযাত্রীদের উপর হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসবাদীরা৷ তাদের কোনোভাবেই রেয়াত করা যায় না৷এদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া উচিত৷একই সঙ্গে এই ঘটনাকে শান্তির অধিকারের উপর আক্রমণ বলে মন্তব্য করে নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক জানিয়েছে হোয়াইট হাউস৷

একই সঙ্গে ওই বিবৃতিতে আরও আরও বলা হয়েছে, এই ধরনের সন্ত্রাসবাদ নিধনে সর্বদা ভারতের পাশে আছে আমেরিকা৷ বিশ্ববাসীর কাছে বর্তমানে অভিশাপ হয়ে দেখা দিয়েছে সন্ত্রাসবাদ৷ কখন কোথায় এরা হানা দেয় তা বোঝা সম্ভব হচ্ছে না৷ এদের বিরুদ্ধে দুই দেশকেই আগামী দিনে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে৷ এদের শক্তির উৎস কোথায় তা বের করে এদের নির্মূল করতে হবে বলেও ওই প্রেস বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে৷

দিন কয়েক আগেই মার্কিন সফর সেরে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে একান্ত বৈঠকে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে সরব হন তিনি৷ ইসলামের নাম করে যে সন্ত্রাসবাদ মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে তা যে ভারত বা আমেরিকা দুই দেশের জন্যই সমান ক্ষতি এবং এই বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে তুলে ধরেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী৷ ডোনাল্ড ট্রাম্পও ভারতের এই দাবি মেনে নেয়৷

পাশাপাশি তিনি প্রতিশ্রুতি দেন আগামী দিনে সন্ত্রাসবাদ দমনে ভারতকে সবরকম সাহায্য করবে আমেরিকা৷একই সঙ্গে ট্রাম্প বলেছিলেন, দুই দেশ শপথ নিয়েছে ইসলামের নাম করে কোনও সন্ত্রাসবাদকে ছেড়ে কথা বলা হবে না৷ বিশেষ করে আফগানিস্তানে গজিয়ে ওঠা জঙ্গি ঘাঁটি নিয়েও সরব হয়েছে৷ আগামী মাসেই ওই সকল জঙ্গি ঘাঁটিগুলি গুড়িয়ে দেওয়া হবে ৷ এর জন্য জাপানের সঙ্গে কথাবার্তা চলছে৷ভারত মহাসাগর ব্যবহার করে এশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী এই দেশের যুদ্ধ জাহাজের সাহায্যে ওই সকল ঘাঁটিগুলি নিশ্চিহ্ন করা হবে ৷

এই দিকে আমেরিকার তরফে এহেন বার্তা পেলে পাকিস্তান বিষয়টি নিয়ে তেমনভাবে কোনও মন্তব্য করেনি এখনও পর্যন্ত৷ যা নিয়ে ইতিমধ্যেই কূটনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক৷ওই মহেলর একটা বড় অংশের দাবি, যেখানে লস্কর-ই-তইবার মতো জঙ্গি সংগঠনগুলিকে মদত দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেখানে ইসলমাবাদ যে এই বিষয়ে মুখে কুলুপ আঁটবে এটাই স্বাভাবিক৷তবে আমেরিকার তরফে এহেন বার্তা পাওয়ার পর পাকিস্তান যে খানিকটা হলেও চাপে থাকবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না৷

প্রসঙ্গত আফগান-পাক সীমান্তে জঙ্গি ঘাঁটিগুলির বিরুদ্ধে পাকিস্তান যে কয়েকদিন আগে ব্যবস্থা নিয়েছে তা ঠিক৷ তবে নওয়াজ শরিফের দেশই একসময়ওই সকল সন্ত্রাসবাদীদের মদত দিয়েছে বলে আন্তর্জাতিক মঞ্চে বার বার সরব হয়েছে ভারত৷তবে তাতেও বিশেষ কাজ হয়নি বলেও দাবি করেছে কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ওই অংশটি৷ গত ১০জুলাইয়ের ঘটনা অন্তত এর উদাহরণ৷ সূত্র: কলকাতা ২৪