‘শাকিবের আইন থেকে পার পাওয়ার উপায় নেই’

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

চাইলেই অপু বিশ্বাসকে অস্বীকার করতে পারবেন না ‌‘ঢালিউডের ‌কিং খান’ খ্যাত নায়ক শাকিব খান। অপুর ধর্মান্তরের বিষয়গুলো আরো যাচাই করার ওপর জোর দিয়েছেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের পরিচালক (লিগ্যাল এইড) এডভোকেট মাকসুদা আক্তার লাইলী।

 

সোমবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে শাকিব খানের সঙ্গে নিজের বিয়ে ও সন্তান জন্মদানের বিষয়টি প্রকাশ করেন নায়িকা অপু বিশ্বাস।

 

টিভির স্টুডিওতে সন্তান কোলে নিয়ে আসেন অপু। তিনি টালিউড কিং শাকিবের স্ত্রী হিসেবে নিজের অবস্থান প্রমাণ করেন। এর কিছুক্ষণ পরেই শাকিব খান গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে নিজের বিয়ের কথা স্বীকার করেন। এ সময় সন্তান আব্রাহামের দায়িত্ব নিলেও একই সঙ্গে অপু বিশ্বাসের দায়িত্ব নেয়া থেকে বিরত থাকবেন বলে জানান তিনি।

 

শাকিব খানের এ ধরনের অবস্থানের বিষয়ে মহিলা পরিষদের পরিচালক মাকসুদা আক্তার বলেন, ‌‘বিয়েতো আর বাতিল হবে না। এটা কোন গোপন বিষয়ও নয়। এতে আইনগত বিষয়ের সঙ্গে, সামাজিক স্বীকৃতি, মর্যাদার বিষয়টিও জড়িত থাকে। কেউ কাউকে বিয়ে গোপন রাখতে বাধ্য করতে পারে না। রেজিস্ট্রি ছাড়া বিয়ে করলে সেটিও শাস্তিমূলক হবে।’

 

অপুকে গ্রহণ না করার যে মন্তব্য শাকিব করেছে, এক্ষেত্রে অপু লিগ্যাল এ্যাকশন নিতে পারে। বিয়ে করলে ডিভোর্স দিতে পারে, কিন্তু স্ত্রীকে অস্বীকার করা যাবে না।

 

তিনি বলেন, ‘বিয়ের পর স্বামী যদি সামাজিক মর্যাদা না দেয়, অস্বীকার করে, সন্তানের স্বীকৃতি না দেয়, এটা এক ধরনের ধর্ষণকারীদের মতো কাজ  তবে অপুকে অাসল অবস্থানটা পরিষ্কার করতে হবে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাচ্চার জন্ম দিলে সেটি ধর্ষণ হবে। শাকিবের আইন থেকে পার পাওয়ার উপায় নেই।’

 

অপু কি ধরনের এ্যাকশন নিতে পারে? জানতে চাইলে এই আইনজীবী বলেন, ‘এটা যদি বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাচ্চা জন্মদান হয়, তবে ধর্ষণের অভিযোগ আনতে পারেন। স্ত্রী হিসেবে যে মর্যাদা সেটি অপু দাবি করবে। সামাজিকভাবে অপুর যে মর্যাদা রয়েছে, সেটি হেয় হচ্ছে। এসব বিষয়ে অপু আইনি অভিযোগ আনতে পারে।’

 

তিনি বলেন, ‌‌’এক্ষেত্রে ধর্মান্তরিত হওয়ার মতো একটি স্পর্শকাতর বিষয়ও রয়েছে। চাইলে অপুর ধর্ম পরিবর্তন না করেও স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টে বিয়ে করতে পারতেন। এখানে দেখতে হবে, অপুর ওপর ধর্ম পরিবর্তনের কোন চাপ ছিল কিনা!’

 

মাকসুদা আক্তার বলেন, অপুকে এই বিষয়গুলোও পরিষ্কার করতে হবে। যদি বিয়ের এক মাসের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন না করে থাকে এবং প্রতারণার আশ্রয় নেয়, তবে এই অপরাধে দুই বছরের কারাদণ্ডের বিধানও রয়েছে।

 

মহিলা পরিষদের পক্ষ থেকে তিনি বলেন, ‘শাকিব খানের মতো একজন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব যে কাজ করেছে আমরা তার প্রতিবাদ জানাই। কারণ অনেকে তাকে অনুসরণ করে। তাই তার অপরাধ শুধু একজন ব্যক্তির অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করার সুযোগ নেই। কারণ এই অপরাধ অন্যদের মধ্যে সংক্রমিত হয়।’

 

তিনি বলেন, ‘আমরা চাই মেয়েটার নিরাপত্তা। অপু ও তার সন্তানের যে অধিকার সেটি প্রতিষ্ঠা করার জন্যে যা যা সহযোগিতা প্রয়োজন মহিলা পরিষদ তা করবে।

সূত্র: বাংলা নিউজ