বগুড়ায় শহীদ মিনারে জুতা পায়ে ছাত্রদল নেতাকর্মী, নামতে বলায় ৫ পুলিশকে আহত

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

বগুড়া শহীদ খোকন পার্কের কেন্দ্রীয় শহর মিনারে জুতা-স্যান্ডেল পায়ে ওঠা ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের নামতে বলায় তারা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে।

বুধবার দুপুরের এ ঘটনার সময় একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। একজনকে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ওই হামলার সময় এক কনস্টেবলের হাতে থাকা রাইফেলের ট্রিগার হারিয়ে যায়। পুলিশ বিভিন্ন স্থান থেকে ছাত্রদলের ১১ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে।

এ সময় বেশকিছু নেতাকর্মী জুতা-স্যান্ডেল পায়ে শহীদ মিনারে ওঠে শ্লোগান দিতে থাকেন। ওই এলাকায় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) সনাতন চক্রবর্তী ভিতরে ঢুকে জুতা পায়ে থাকা নেতাকর্মীদের শহীদ মিনার থেকে নামতে অনুরোধ করেন।

এতে নেতাকর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে প্ল্যাকার্ড বহনের লাঠি দিয়ে পুলিশের উপর হামলা করেন। লাঠির আঘাতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী, এএসআই আশরাফুল আলম ও কনস্টেবল পারভেজসহ ৫ জন আহত হন। হামলার পরপরই ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা প্রাচীর ডিঙ্গিয়ে পালিয়ে যান।

আহত কনস্টেবল পারভেজকে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। হামলার সময় এক কনস্টেবলের হাতে থাকা রাইফেলের ট্রিগার খুলে পড়ে গেলে সেটি হারিয়ে গেছে। যদিও পুলিশ কর্মকর্তারা এর সত্যতা নিশ্চিত করেননি।

জেলা ছাত্রদলের ছাত্রদলের সভাপতি আবু হাসান ও সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম সিদ্দিকী রিগ্যান জানান, তাদের কোনো নেতাকর্মী জুতা পায়ে শহীদ মিনারে ওঠেনি এবং তারা কোনো পুলিশকে মারধর করেননি। শুধু সামান্য বাকবিতণ্ডা হয়েছিল। হয়রানি করতে তাদের মিথ্যা দোষারোপ করা হচ্ছে।

বগুড়া সদর থানার ওসি এসএম বদিউজ্জামান জানান, হামলার সঙ্গে জড়িত থাকায় ছাত্রদলের ১১ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে জুতা-স্যান্ডেল পায়ে শহীদ মিনারে উঠে দলীয় শ্লোগান এবং পুলিশকে মারধর করার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। তারা এ ঘটনায় জড়িত ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়েছেন।