শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান উদ্যান নববর্ষে ফ্রি ঘোষণা থাকলেও নেয়া হলো টিকেট

নিজস্ব প্রতিবেদক

নববর্ষ উপলক্ষে রাজশাহীর শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও বরেন্দ্র গবেষণা যাদুঘর সকাল সন্ধ্যা সকলের জন্য উন্মুক্ত রাখার সিধান্ত নেন জেলা প্রশাসন। সম্মিলিত সভায় সবার সম্মতিক্রমে এই সিধান্ত নেওয়া হয়। তবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও রাজশাহীর শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান উদ্যানে টিকেট নেওয়া হচ্ছে। এতে ক্ষুব্ধ দর্শনার্থীরা। তবে পাল্টা পাল্টি অভিযোগ সিটি কর্পোরেশন ও জেলা প্রশাসনের।

সরেজমিনে ঘরে দেখা গেছে, রাজশাহীর শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান উদ্যানের প্রধান ফটকে লম্বা লাইন। প্রবেশ পথেই নেওয়া হচ্ছে টিকেট। প্রতিটি টিকেটের মূল্য রাখা হচ্ছে ২৫ টাকা। অথচ জেলা প্রশাসনের মিটিং এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এই দিন ফ্রি থাকবে।

পাঁচ বছরের শিশুকে নিয়ে চিড়িয়াখানা করতে এসেছেন মিজানুর রহমান। ঈদের পর প্রথম তিনি এসেছেন মেয়েকে নিয়ে ঘুরতে। তিনিও তার মেয়ে টিকেট কেটে প্রবেশ করেছেন।

তিনি বলেন, দুজনের প্রবেশ করতে ৫০ টাকা দিয়ে টিকিট কাটতে হয়েছে। অথচ তারা একবারও বলেনি যে আজকের এই দিনে ফ্রি রাখা হয়েছে। শুধু আমি না সবারই টিকিট কাটতে হচ্ছে। এটি খুব দুঃখজনক। সিদ্ধান্তর পর কেন তারা টাকা নিবে। এটা অন্যায়।

মিজানুর রহমানের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন আবু সালেহ। তিনি বলেন, আমি নোটিশটি শুনেছিলাম। শুনে এসেছি কিন্তু তারা টিকিট নিয়েছে। এসে যখন পড়েছি তখন তো তার ফিরে যেতে পারি না তাই টিকিট কেটে ঢুকেছি। তবে এটি যেহেতু ফ্রি ঘোষণা ছিল ফ্রি রাখা উচিত ছিল। এটি জনগনের সাথে প্রতারনা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে রাজশাহী শহীদ এইচএম কামরুজ্জামান উদ্যানের কিউরিটেকর শরিফুল ইসলাম বলেন, আমাদের টিকিট কোন ফ্রী দেখা হয়নি। সকলকে টিকিট কেটেই প্রবেশ করতে হচ্ছে। এটি সিটি কর্পোরেশন দ্বারা পরিচালিত। জেলা প্রশাসন কেন এ ঘোষণা দিয়েছে জানিনা। তারা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেনা। তারা আমাদের সাথে না জানিয়ে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। ফলে আমরা আজ টিকিট চালু রেখেছি।

তবে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসন সার্বিক কল্যাণ চৌধুরী বলেন, এটি সমন্বয় সকার সিদ্ধান্ত। এখানে সিটি কর্পোরেশন ও জেলা প্রশাসন সকলেরই প্রতিনিধি ছিল। তাদের সম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, যেহেতু আপনারা বললেন যে টিকিটের টাকা নেওয়া হচ্ছে। আমি দেখছি কেননা হচ্ছে এ বিষয় তাদের সাথে কথা বলা হবে।