শরীয়তপুরে নতুন এলাকা প্লাবিত, সঙ্গে ভাঙন

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে প্রতিদিনই শরীয়ত জেলার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। সেই সঙ্গে পদ্মার অব্যাহত ভাঙনে প্রতিদিন গৃহহারা হচ্ছে শত শত পরিবার।

সদর উপজেলার চারটি ইউনিয়নে অন্তত ১০টি গ্রামে নতুন করে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। এভাবে আরো দুই-একদিন পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে ঢাকা-শরীয়তপুর মহাসড়কসহ উপজেলা সড়কগুলোর অনেক স্থান তলিয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে।

ইতোমধ্যে নড়িয়া-মঙ্গল-মাঝিরঘাট সড়কের মোক্তারের চর এলাকায় প্রায় এক কিলোমিটার সড়ক তলিয়ে গেছে। যে কোনো মুহূর্তে ওই সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

তলিয়ে গেছে নড়িয়া উপজেলার অন্তত ১০টি গ্রামীণ পাকা সড়ক। সুরেশ্বর পয়েন্টে পদ্মার পানি বিপদ সীমার ৭৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে শরীয়তপুরের চারটি উপজেলার দুই লক্ষাধিক মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।

বন্যাকবলিত এলাকায় গত দুইদিনে নতুন ১৫টি বিদ্যালয়ে পানি ঢুকেছে। ফলে ১০টি উচ্চবিদ্যালয়সহ ৯০টি বিদ্যালয়ে পানি ঢুকে পড়ায় পাঠদান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সোমাবর থেকে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত থাকলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল মনে করছেন ভাঙন কবলিত ও বানভাষীরা।

গত এক সপ্তাহে জেলার তিনটি উপজেলার অন্তত ২০ গ্রামের কয়েক শত পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। ভাঙন কবলিত এলাকার শত শত পরিবার দিন-রাত সরানোর চেষ্টা করছে তাদের বসতঘর ও গাছপালা।

তার পরেও চোখের সামনে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুইটি বাজারের ৬৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ফসলী জমিসহ অনেক স্থাপনা। পদ্মার অব্যাহত ভাঙনে দিশেহারা মানুষ মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে চরাঞ্চলের শত শত শিশু শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, শরীয়তপুর জেলার পালং, জাজিরা, নড়িয়া ও ভেদরগঞ্জ উপজেলার অন্তত ৩৫টি ইউনিয়নে দুই লক্ষাধিক মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। বিশুদ্ধ পানির অভাব দেখা দিয়েছে মারাত্মকভাবে। ভেঙে পড়েছে  মানুষের পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা। গরুর খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে ব্যাপকভাবে।

সূত্র: রাইজিংবিডি