শরণখোলায় বাঁধের ১০ পয়েন্টে ভাঙন

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

বাগেরহাটের শরণখোলায় বলেশ্বরপারে বেড়িবাঁধে আবারও ভাঙন শুরু হয়েছে। জোয়ারের পানির চাপে গতকাল বুধবার সকালে বগী গ্রাম এলাকায় বাঁধ ভেঙে লোকলয়ে পানি ঢুকেছে।

এ ছাড়া বগী থেকে গাবতলা বাজার পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার বাঁধের ১০টি পয়েন্টে ভয়াবহ ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ওই সব এলাকা ভেঙে যেকোনো সময় গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।

গত এক বছরে শরণখোলায় বলেশ্বরপারে প্রায় ৪৬ কিলোমিটার বাঁধের ১২-১৪টি পয়েন্ট ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ২০১৬ সালে শরণখোলায় টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণকাজ শুরু হলেও এখনো তা শেষ হয়নি। বর্ষা মৌসুমের কারণে এ মুহূর্তে বাঁধে মাটি দেওয়ার কাজ বন্ধ রয়েছে।

জানা গেছে, ২০০৭ সালে সিডরে বেড়িবাঁধ ধ্বংসের পর ২০১৬ সালের ২৬ জানুয়ারি বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে শরণখোলা থেকে মোরেলগঞ্জ উপজেলা পর্যন্ত নদের পারে ৬২ কিলোমিটার  টেকসই বাঁধ নির্মাণকাজ শুরু হয়। বাঁধ নির্মাণের পুরো কাজ ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু কাজে যে গতি তাতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টেকসই বাঁধ নির্মাণকাজ শেষ হবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছে স্থানীয়রা।

এলাকাবাসী জানায়, জোয়ারে অস্বাভাবিক পানির চাপে বলেশ্বরপারে বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বুধবার সকালে সাউথখালী ইউনিয়নের বলেশ্বরসংলগ্ন বগী এলাকায় প্রায় ২০০ মিটার বাঁধ ভেঙে গেছে। বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় পানি প্রবেশ করে ফসলি জমি প্লাবিত হচ্ছে। ফলে বলেশ্বরপারের মানুষ চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। বাঁধের আরো বেশ কয়েকটি পয়েন্ট ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। তাই বলেশ্বরপারে দ্রুত টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণকাজ শেষ করার দাবি স্থানীয়দের।

শরণখোলা উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন জানান, বলেশ্বরপারে বগী এলাকায় বাঁধ বেঙে গ্রামে পানি ঢুকেছে। এ এলাকার ফসলি জমি এখন পানির নিচে। উত্তর সাউথখালী, দক্ষিণ সাউথখালী ও বগী গ্রামের মানুষ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

শরণখোলায় নির্মাণাধীন বেড়িবাঁধের তদারকির দায়িত্বে নিয়োজিত সিইআইপির প্রকৌশলী শ্যামল দত্ত জানান, বলেশ্বরপারের বগী এলাকায় বাঁধের প্রায় ৬০ মিটার ভেঙে গেছে। তা ছাড়া বাঁধের আরো কয়েকটি পয়েন্ট ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ভাঙন ঠেকাতে ওই এলাকায় আপাতত রিংবাঁধ দেওয়া হবে।

অন্যদিকে শরণখোলায় টেকসই বেড়িবাঁধের স্লুইসগেট নির্মাণকাজ চলছে। তবে বর্ষা মৌসুমের কারণে আপাতত বাঁধে মাটির কাজ বন্ধ রয়েছে।