শংকর গোবিন্দ চৌধুরীর স্বাধীনতা পদক পাওয়ায় আলোচনাসভা

নাটোরর প্রতিনিধি:

স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর নাটোরের প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তি যুদ্ধের সংগঠক শংকর গোবিন্দ চৌধুরীর স্বাধীনতা পদক পাওয়ায় নাটোর জেলা পুলিশের উদ্যেগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত রাতে শহরের বড় হরিশপুর পুলিশ লাইনে পুলিশ সুপার বিপ্লব বিজয় তালুকদারের সভাপতিত্বে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, শংকর গোবিন্দ চৌধুরীর মেয়ে ও নাটোর পৌরসভার মেয়র উমা চৌধুরী জলি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খাইরুল আলম, নাটোর প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক আল মামুনসহ অন্যরা।

এসময় বক্তারা, প্রয়াত শংকর গোবিন্দ চৌধুরীর তার রাজনৈতিক, সামাজিক এবং মুক্তি যুদ্ধকালীন সময়ের কর্মকান্ড নিয়ে আলোকপাত করেন। পরে জেলা পলিশের পক্ষ থেকে তাঁর যোগ্য উত্তরসূরি নাটোর পৌরসভার মেয়র এবং জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি উমা চৌধুরী জলি হাতে ক্রেষ্ট ও সম্মাননা স্বারক তুলে দেওয়া হয়।

উল্লেখ নাটোরের গণমানুষের অবিসংবাদিত নেতা প্রয়াত শংকর গোবিন্দ চৌধুরী স্বাধীনতা পদক (মরণোত্তর‍) ২০১৮ এ ভূষিত করা হয়। রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পাওয়ায় তার পরিবারও আবেগআপ্লুত।

তার উত্তরসূরী হিসেবে নাটোরের মানুষের পাশে সব সময় নিজেকে নিবেদিত রেখেছেন তার কন্যা উমা চৌধুরী জলি । নাটোর পৌরসভার মেয়র এবং জেলা আওয়ামীলীগের অন্যতম সহ-সভাপতি উমা চৌধুরী জলি তাঁর যোগ্য উত্তরসূরি।

বাবু শংকর গোবিন্দ চৌধুরীর এই ক্ষণজন্মার আবির্ভাব ১৯২৬ সালের ৪ মার্চ, নাটোরের ছাতনী গ্রামে। তার বাবা জ্ঞানদা গোবিন্দ চৌধুরী ছিলেন নাটোর ভাবনীর জমিদার এবং বেনারস বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই সময়কার গ্র্যাজুয়েট।

৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে ছাতনী এলাকার অনেক মানুষ শহীদ হন। তাদের বাড়ীঘর পুড়িয়ে দেয়াসহ লুটপাটে নিস্বঃ হওয়া পরিবার গুলোকে নিজের সম্পত্তি দান করে প্রতিষ্ঠিত করেন এই মহান নেতা। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু তাঁকে নাটোরের গভর্নর নিয়োগ করেন। তিনি আমৃত্যু নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।

 

স/আ