লিভারপুলকে পেল রিয়াল

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

গোটা ম্যাচে খেলল আধিপত্য বিস্তার করে। পেল রোমাঞ্চকর জয়ও। তবু ফাইনালের টিকিট পেল না দলটি। এর চেয়ে বড় হতাশার আর কি-বা হতে পারে? হ্যাঁ, রোমার ক্ষেত্রে প্রশ্নটি জাগতেই পারে।

চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালের ফিরতি পর্বের লড়াইয়ে লিভারপুলকে ৪-২ গোলে হারিয়েছে দলটি। তবে দুই লেগ মিলিয়ে ৭-৬ ব্যবধানের অগ্রগামিতায় তাদের হতাশায় ডুবিয়ে ফাইনালে উঠেছে অলরেডসরা। প্রথম পর্বে ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ডে ৫-২ গোলে জিতেছিল তারা।

এ নিয়ে ১১ বছর পর ইউরোপসেরা টুর্নামেন্টের ফাইনালে পা রাখল লিভারপুল। আগামী ২৬ মে ইউক্রেনের কিয়েভে ফাইনালি লড়াইয়ে রেকর্ড ১২বারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে নামবে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা।

অ্যানফিল্ডে বড় ব্যবধানে হারের পর ঘুরে দাঁড়াতে অভাবনীয়, অবর্ণনীয় কিছু করে দেখাতে হতো রোমাকে। তবে বুধবার অলিম্পিক স্টেডিয়ামে শুরুতেই ধাক্কা খায় দলটি। ৯ মিনিটে তাদের ভুলের সুযোগ নিয়ে এগিয়ে যায় লিভারপুল। গোল করে দলকে লিড এনে দেন সাদিও মানে।

অবশ্য সমতায় ফিরতে সময় লাগেনি রোমার। ১৫মিনিটে সৌভাগ্যের ছোঁয়ায় গোলের দেখা পায় তারা। রক্ষণসেনা লোভরেনের শট মিডফিল্ডার জেমস মিলনারের মুখে লেগে জড়িয়ে যায় জালে।

পরে আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে জমে ওঠে খেলা। এবার এগিয়ে যায় লিভারপুল। ২৫ মিনিটে দলকে এগিয়ে দেন জর্জিনিয়ো ভিনালডাম। তার গোলে একরকম ফাইনালে খেলা নিশ্চিত হয় সফরকারীদের!

তবে নাটকের তখনও বাকি ছিল। এ দৃশ্যে গর্জে ওঠেন এডেন জেকো। ৫৩ মিনিটে নিশানাভেদ করে রোমার স্বপ্নে আশার প্রদীপ জ্বালান তিনি। এরপর পুরো ছন্দে লা লুপারা। ৮৬ মিনিটে নাইনগোলানের দূরপাল্লার শট ঠিকানায় পৌঁছলে তাদের মধ্যে প্রাণ সঞ্চার হয়।

কিন্তু এ পর্যন্তই। ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে টানতে দরকার ছিল ২ গোল। সেখানে দেখা মিলল একটির; ইনজুরি টাইমের অন্তিমলগ্নে নাইনগোলানের সফল স্পট কিক শুধু আক্ষেপই বাড়িয়েছে।