লিবিয়ায় অবস্থানরত রাজশাহী অঞ্চলের শ্রমিকদের মাঝে চরম আতঙ্ক

নিজস্ব প্রতিবেদক:

লিবিয়ায় মানবপাচারকারী চক্রের গুলিতে নিহত ২৬ বাংলাদেশির নিহত হওয়ায় ঘটনায় সে দেশে অবস্থানরত বাংঙ্গালী শ্রমিকদের মাঝে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।একই অবস্থা বিরাজ করছে সে দেশে অবস্থানরত রাজশাহী অঞ্চলের শ্রমিকদের মাঝেও।

বৃহস্পতিবার লিবিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর মিজদায় অভিবাসীদের ওপর হামলা চালায় মানবপাচারকারী একটি চক্র। এতে ঘটনাস্থলেই অনেকে মারা যান।

লিবিয়ার বেনওয়ালিদ শহরের একটি সিরামিক কম্পানীতে চাকরি করেন রাজশাহীর দুর্গাপুরের আমগাছী গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম। তিনি সিল্কসিটিনিউজে ম্যাসেঞ্জারে কল করে জানান, তারা যে শহরে কাজ করেন, সেখান থেকে ঘটনাস্থল মিজদাহ শহরটি প্রায় একশ কিলোমিটার দূরে। সম্ভবত যাদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, তাদের বেনওয়ালিদ শহরে হয়ে ত্রিপলিতে নেওয়া হত। কিন্তু ত্রিপলিতে যাওয়ার আগেই কয়েক’শ কিলোমিটার দূরেই মিজদাহ শহরে তাদের এলোপাথাড়ি গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে আমাদের বাঙ্গালী শ্রমিকদের মাঝে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই রাস্তায় বের হচ্ছেন না ভয়ে। কাজ শেষ করেই রুমে গিয়ে সেখানেই অবস্থান করছেন।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যতদূর জানতে পেরেছে, নিহতরা অনেকেই মাদারিপুর জেলার বাসিন্দা। কিন্তু কারো নাম-ঠিকানা সঠিকভাবে পাওয়া যায়নি। লিবিয়ায় অবস্থানরত বাঙ্গালীরা সেটি জানার চেষ্টা করছেন। কিন্তু আতঙ্কের কারণে কেউ সেখানে যেতে সাহস পাচ্ছেন না।’

নওগাঁর জয়নাল হোসেন, উজ্জল হোসেনও একই দাবি করেন। তারা জানান, ঘটনা কি কারণে ঘটেছে-তা বলতে পারব না। কিন্তু আমরা খুব আতঙ্কে আছি। কারা মারা গেছে তাও বলতে পারব না। তবে শোনা যাচ্ছে অধিকাংশই মাদারিপুর জেলার। এর বাইরে আর কোনো তথ্য আমাদের কাছে নাই। আমরা কোথাও বেরও হচ্ছি না।’

বগুড়ার মাসুম হোসেন বলেন, ‘বেনওয়ালিদ শহরে আমরা প্রায় ১০০ বাঙ্গালী শ্রমিক চাকরি করি। ওই ঘটনার থেকে আমরা চরম আতঙ্কে আছি। একসঙ্গে এতো বাঙ্গালী কখনো লিবিয়াতে মারা যায়নি বলে মনে হয়। তিনি আরও জানান, লিবিয়ায় সাধারণত বাঙ্গালীদের শ্রমিক হিসেবে কাজ করার জন্যেই আনা হয়। তার পরেও অনেকেই বিভিন্ন পেশায় আছেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার যাদের গুলি করে মারা হয়, তারা হয়তো শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেই লিবিয়ায় এসেছিলেন।’

স/আর