লিটনের পক্ষে কাজ করার অঙ্গীকার রাসিকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের

নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাবেক মেয়র ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন (রাসিক) নির্বাচনের আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের পক্ষে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। গতকাল শনিবার রাত ১০টার দিকে খায়রুজ্জামান লিটনের উপশহরস্থ বাসায় ঈদ পরবর্তী কুশল বিনিময় ও মতবিনিময় সভায় এ অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তারা।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আমি মেয়র থাকাকালে সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজের পরিবার মনে করেছি। কাউকে আপন, কাউকে পর করে দেখিনি। এমনকি তাদের সঙ্গে অনেক দিন একসাথে দুপুরের খাবারও খেয়েছি।

লিটন বলেন, আমার অসমাপ্ত অনেক উন্নয়ন কাজ বাকি রয়েছে। আগামীতে নির্বাচিত হলে দিগুন স্পিডে কাজ করতে হবে। কারণ আমার শুরু করা প্রকল্পগুলো সব স্থবির হয়ে আছে। আর গত পাঁচ বছরেও যদি সদ্য বিদায়ী মেয়র একটা কাজ করতে পারতো, তবে তাও বলতে পারতাম তিনি কিছু করেছেন। কিন্তু তিনি সেটাও করতে পারেননি। বরং গত ঈদের আগমুহূর্তে ২৬০০ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন-ভাতা আটকে গিয়েছিল। মেয়র ৫ দিন ধরে সিটি কর্পোরেশনে আসেননি, পালিয়ে ছিলেন। পরে আমি ও ফজলে হোসেন বাদশা ভাই ২৬০০ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতার ব্যবস্থা করেছি।

মতবিনিময় সভায় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বলেন, খায়রুজ্জামান লিটন ভাই মেয়র থাকাকালে নিয়মিত বেতন-ভাতা হতো। কিন্তু গত ৫ বছর বেতন-ভাতা অনিয়মিত হয়ে পড়ে। বেতন-ভাতার দাবিতে আন্দোলনেও পর্যন্ত নামতে হয়েছে। আমরা এমন অবস্থায় আর পড়তে চাই না। তাই আগামীতে লিটন ভাইয়ের পক্ষে কাজ করতে আমরা ঐকবদ্ধ।

সিটি কর্পোরেশনের বাণিজ্য শাখার পরিদর্শক রেজাউল ইসলাম বলেন, আজকে সিটি কর্পোরেশনে চাকুরি করছি শুনলে মুদি দোকানী পণ্য দেয় না, দুধ বিক্রেতা দুধ দেয় না। আমরা এই অবস্থায় থাকতে চাই না। এখান থেকে উত্তরণের জন্যে সবাই ঐকবদ্ধ হয়ে খায়রুজ্জামান লিটন ভাইয়ের পক্ষে কাজ করবো।

সভায় আরো বক্তব্য দেন, সিটি কর্পোরেশনের কর্মচারী ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি গোলাম রব্বানী, স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা ফিরোজা বেগমসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

স/শা