লাহোরে নিজ বাড়ির সামনে খুন খালিস্তান কমান্ডো ফোর্সের প্রধান

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক:

খালিস্তান কমান্ডো ফোর্স (কেসিএফ) প্রধান পরমজিৎ সিং পাঞ্জওয়ার ওরফে মালিক সর্দার সিং। ছবি : দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
ভারতীয় গোয়েন্দার মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় ছিলেন তিনি। শনিবার পাকিস্তানের লাহোরে অজ্ঞাতপরিচয় দুই বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হলেন খালিস্তানি কমান্ডো বাহিনী কেসিএফের প্রধান পরমজিৎ সিং পাঞ্জওয়ার ওরফে মালিক সর্দার সিং।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, লাহোরে নিজের বাড়ির সামনেই হাঁটতে বেরিয়েছিলেন পরমজিৎ। সেই সময় অতর্কিতে দুই বন্দুকধারী হামলা চালায় তার ওপর। মৃত্যু হয় খালিস্তানি নেতার। এ সময় আহত হয়েছেন দুষ্কৃতকারীরাও। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে লাহোর পুলিশ।

এদিকে খালিস্তানপন্থী গোষ্ঠীর খালসা গ্রুপের প্রধান কুঁয়ার পাল সিংহও শনিবার দুপুরে পরমজিতের মৃত্যুর কথা জানান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খালিস্তানপন্থীদের একাংশ এই খুনের নেপথ্যে ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা রয়ের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে। গত কয়েক বছরে একাধিকবার খালিস্তান কমান্ডো ফোর্সের প্রধান পরমজিতের বিরুদ্ধে ড্রোনের মাধ্যমে ভারতে অস্ত্র এবং মাদক পাচারের অভিযোগ উঠেছিল।

পরমজিতের জন্ম হয়েছিল ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের পাঞ্জওয়ার গ্রামে। একটা সময় সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাংকে কাজ করতেন তিনি। চাচাতো ভাই লাভ সিং ছিলেন খালিস্তানপন্থী। তার প্রভাবেই খালিস্তানি আন্দোলনে যোগ দেন পরমজিৎ। ১৯৮৬ সালে খালিস্তানি কমান্ডো ফোর্সে যোগ দেওয়ার পর নব্বইয়ের দশকে কেসিএফের প্রধান হন। দীর্ঘদিন ধরে ভারতবিরোধী কার্যকলাপ চালাচ্ছিলেন এই খালিস্তানি উগ্রপন্থী। শনিবার লাহোরের জোহার টাউনে সানফ্লাওয়ার সোসাইটিতে নিজের বাড়ির সামনেই গুলি করে মারা হলো পরমজিৎকে। ভোর ৬টা নাগাদ ওই হত্যাকাণ্ড হয়। এর আগে গত নভেম্বরে পাকিস্তানে খুন হয়েছিলেন খালিস্তানি নেতা হরবিন্দর সিংহ রিন্দা।

প্রসঙ্গত ভারত ছেড়ে পাকিস্তানের মদদে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালাচ্ছিল পরমজিৎ। যদিও খালিস্তানি নেতা যে সে দেশে থাকেন, সে কথা বারবার অস্বীকার করেছে ইসলামাবাদ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, খালিস্তানি আন্দোলনের নামে ড্রোনে করে অস্ত্র ও মাদক পাচার করতেন। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশ থেকে ভারতে বেআইনি সামগ্রী পাচার করে আয় করতেন। সূত্র; কালের কণ্ঠ