লালপুরে শিক্ষকের বেত্রাঘাতে শিক্ষার্থী হাসপাতালে

লালপুর প্রতিনিধি:
নাটোরের লালপুরে শাসনের নামে শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেছেন এক শিক্ষক। আহত শিক্ষার্থী সোহাগকে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দাখিল করেছেন সোহাগের পিতা।

হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) উপজেলার ঢুষপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শরীর চর্চা শিক্ষক রুমেন আহমেদ (রান্টু) সপ্তম শ্রেণীতে ক্লাশ নিতে যান। ক্লাসে গিয়ে তিনি জানতে পারেন ওই কক্ষে ইট দিয়ে সাময়িকভাবে বন্ধ করা জানালা কে বা কারা খুলে ফেলেছে। জানালার ইট কে খুলেছে তা জানতে চাইলে শ্রেনীর কোন শিক্ষার্থী উত্তর না দিলে ওই শিক্ষক ক্লাসের সকল শিক্ষার্থীকে বেত্রাঘাত করে। বেত্রাঘাতের এক পর্যায়ে কয়েকজন ছাত্র আহত হয়।

এসময় আহত সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সোহাগকে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় এ প্রতিবদন লেখা পর্যন্ত সে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল।

সোহাগের পিতা সাধু আলী জানান, ওই শিক্ষক আমার ছেলেসহ ক্লাসের সব ছেলেকে পিটিয়েছে। তিনি শিক্ষক হিসেবে ছাত্রকে শাসন করতেই পারেন। কিন্তু এভাবে মারধর করা ঠিক করেন নাই।

শরীর চর্চা শিক্ষক রুমেন আহমেদ এ ব্যপারে বলেন, জানালার বিষয়ে জানার জন্য ছাত্রদের কাছে জানতে চাইলে তারা কেউ উত্তর না দিলে পিঠের ওপর দু-একটি বাড়ি দিয়েছি।

ঢুষপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দিন আলী বলেন, শিক্ষক শিক্ষার্থীকে শাসন করতেই পারেন। হয়তো অনিচ্ছাকৃত আঘাত লাগতে পারে। আমরা এ ব্যাপারে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলেছি।
লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আব্দুর রাজ্জাক জানান, সোহাগ বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অতিরিক্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু তাহির সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, শিক্ষকের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ পেয়েছি। উপজেলা শিক্ষা অফিসার আসাদুজ্জামানকে বিষয়টি তদন্ত করার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অপরাধের প্রমান পেলে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স/শ