লালপুরে লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত জনজীবন

লালপুর প্রতিনিধি:
চাহিদার তুলনায় সরবরাহ এক তৃতীয়াংশ হওয়ায় নাটোরের লালপুর উপজেলায় গত কয়েকদিন ধরে ভয়াবহ লোডশেডিং চলছে। দিন ও রাতের অধিকাংশ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় ভ্যাপসা গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ফলে এলাকায় শিশু,বৃদ্ধসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষের মাঝে জ্বর, সর্দি, কাশি, এ্যাজমাসহ বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।

ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের ফলে ডিগ্রী, পি.এসসি ও জে.এসসি পরীক্ষার্থীরা ঠিকমত লেখা পড়া করতে পারছেনা। শুধু তাই নয় রাতে কয়েকবার বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে নামে মাত্র বিদ্যুৎ পেয়ে প্রতি মাসে বিল গুনতে হচ্ছে গ্রাহকদের।

লালপুর পল্লী বিদ্যুৎ সূত্রে জানা যায়, পূর্বে পল্লী বিদ্যুৎ লালপুর জোনাল অফিসের অধীনে ১টি পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়নে গ্রাহক ছিল প্রায় ২৬ হাজার। এর বিপরীতে সরবরাহ ছিল সাড়ে ছয় মেগাওয়াট। কিন্তু গত সাড়ে তিন বছরে প্রায় ১৯ হাজার গ্রাহক বেড়ে বর্তমানে মোট গ্রাহক প্রায় ৪৬ হাজার। কিন্তু বিগত সাড়ে তিন বছরে গ্রাহক প্রায় দ্বিগুন হলেও সরবরাহ বাড়ানো হয়নি।

সম্প্রতি চাহিদা বিবেচনা করে লালপুর পল্লী বিদ্যুতের সাব ষ্টেশনের সরবরাহ ক্ষমতা ১০ মেগাওয়াট থেকে বাড়িয়ে ১৯ মেগাওয়াট করা হলেও চাহিদামত সরবরাহ না থাকায় গ্রাহকদের নিরবাচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ দিতে পারছেন না কর্র্তৃপক্ষ। বর্তমানে বিদ্যুতের গ্রাহক চাহিদা প্রায় ১৩ মেগাওয়াট। কিন্তু এই ১৩ মেগাওয়াটের স্থলে পাওয়া যাচ্ছে মাত্র চার মেগাওয়াট, যা মোট চাহিদার এক তৃতীয়াংশ। যার ফলে ভয়াবহ লোডশেডিং করতে হচ্ছে।

বর্তমানে সাবষ্টেশনটি পিক আওয়ারে পাচ্ছে ৫.৫ এবং অফপিক আওয়ারে বিদ্যুৎ পাচ্ছে ৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। রাত দিন ২৪ঘন্টায় ৭ থেকে ৮ঘন্টা বিদ্যুৎ পাচ্ছে বলে গ্রাহকরা জানান।

এ ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুৎ লালপুর জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী গোলাম মর্তুজা জানান, এলাকায় চাহিদা বিবেচনা করে স্টেশনের ক্ষমতা প্রায় দ্বিগুন করা হয়েছে। তবে চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ সরবরাহ কম থাকায় লোডশেডিং করতে হচ্ছে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে, খুব শীঘ্রই পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
স/শ