লালপুরে বিয়ের প্রলোভনে বিধবা নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, নাটোর:
নাটোরের লালপুরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে (৩৫) এক বিধবা নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। পাশবর্তি ধানাদহ গ্রামের এক যুবকের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠে। সম্প্রতি ওই বিধবা মহিলা যুবকের বাড়িতে বিয়ের দাবীতে অবস্থান করায় তাকে বেধড়ক মারপিট করা হয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি। বর্তমানে অসহায় ওই বিধবা বিচারের আশায় প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোন সুবিচার পাচ্ছে না। এমন ঘটনা ঘটেছে উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে।
জানা গেছে, ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের ওই বিধবার সঙ্গে তিন বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল পাশবর্তি ধানাইদহ গ্রামের এক যুবকের সাথে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই যুবক একাধিকবার ওই নারীর সাথে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলে। গত বৃহস্পতিবার সকালে ওই নারীকে বিয়ে করার জন্য পরামর্শ করবে এমন কথা বলে প্রতিবেশী এক নারীর ঘরে নিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে।

 

এসময় প্রতিবেশীরা টের পেলে দুজনকেই ঘরে বন্দি করে রাখে। কিন্ত ওই যুবকের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় জোর করে ছিনিয়ে নিয়ে যায় তাকে। এসময় ওই নারীকে বেধড়ক মারপিট করা হয়।

 

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার রাত দশটা পর্যন্ত বিয়ের দাবীতে ওই যুবকের বাড়িতেই অবস্থান করেন ওই নারী। পরে ১০নম্বর কদিমচিলান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেলিম রেজা সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম ও রেজাউল ইসলামের সাথে নিয়ে মামলা করার জন্য বড়াইগ্রাম থানায় পাঠান। পরে থানায় গেলে ওসি শাহরিয়ার খান মেডিকেল টেষ্ট রিপোর্ট নিয়ে আসতে বলে ভুক্তভোগিকে বিদায় করে দেন। ওসির কথা মতো ওই নারীকে বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে সেখানেও প্রতারণার শিকার হন তিনি। কোন রকম টেষ্ট না করেই তাকে স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।

 
কদিমচিলান ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, চেয়ারম্যানের নির্দেশে থানায় বিচারের জন্য আমরা যাই। কিন্তু থানায় গেলে ওসি কোন কথাই শুনেনি। অভিযোগও গ্রহণ করেনি। মেয়েটি অসহায় হওয়ায় এবং যুকটির পরিবার প্রভাবশালী হওয়া প্রশাসন কোন কাজ করেনি। বর্তমানে মেয়েটি বিচারের আশা ছেড়ে দিয়েছেন।

 

এ বিষয়ে নগর ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রেজাউল করিম জানান, তিনি ঘটনা ঘটার সাথে সাথে সেখানে গিয়ে মেয়েকে মারধর করতে নিষেধ করেন। কিন্তু ছেলের আত্মীয় স্বজন মাঝে মাঝেই এসে মেয়েকে চলে যাওয়ার চাপ দিচ্ছে। তাই তিনি স্থানীয় জনপ্রতিধিদের সাথে কথা বলে বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা করছেন।

 
এবিষয়ে বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহরিয়ার খাঁন জানান, মেয়েটি থানায় তার কাছে গিয়েছিলে। তিনি প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে মেডিকেল রিপোর্ট নিয়ে থানায় আসতে বলা হয়েছিল। কিন্তু মেয়েটি আর আসেনি। তবে মেডিকেল সার্টিফিকেট নিয়ে আসলে তার অভিযোগ গ্রহন করা হবে।

স/আর