নিজস্ব প্রতিবেদক,নাটোর:
নাটোরের লালপুর উপজেলার কদিমচিলান-ঈশ্বরদী সড়কে ডাল কাটার নামে গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কোন রকম টেন্ডার ছাড়াই স্থানীয় আশরাফ আলী নামে এক ব্যক্তি এই গাছগুলো কেটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার সকাল থেকে দিনব্যাপী অন্তত ২০-২৫টি গাছ কেটে নেওয়া হয়। পরে সাংবাদিকদের কাছ থেকে বিষয়টি জেনে গাছ কাটা বন্ধ করে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম।
সরেজমিনে উপজেলার দুয়ারিয়া এলাকায় টেন্ডারবিহীন রাস্তার পাশে থাকা বনবিভাগের অনেকগুলো গাছ কাটতে দেখা যায়। এসময় কমপক্ষে ১৫-২০জন শ্রমিককে বড় বড় গাছ ও গাছের কমপক্ষে শতাধিক ডালগুলো কেটে নিতে দেখা যায়। কেউ তাড়াহুড়ো করে কাটছে আবার কেউ ভ্যান লোড করে নির্দিষ্ট এলাকায় নিয়ে যাচ্ছে।
এসময় গাছ কাটার শ্রমিক তোতা, ইউসুফ, কৃত্তনসহ কয়েকজনের সাথে কথা বললে তারা বলেন, রাস্তা দিয়ে বড় বড় ট্রাক যেতে সমস্যা হয়। সেজন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার চেয়ারম্যানকে রাস্তা পরিষ্কার করতে বলেছেন। তাই আশরাফ ভাই গাছগুলো কাটার জন্য আমাদের নিয়েছে। তাই আমরা বড় বড় গাছগুলো এবং ডালগুলো ছেটে দিচ্ছি।
মহেশ্বর গ্রামের হাসান আলী ও আব্দুস সালাম বলেন, আমরাও তো বনবিভাগের অধিনে রাস্তার পাশে এসব গাছ লাগিয়েছিলাম। কিন্তু আমরা তো গাছ কাটার কোন অনুমতি পেলামনা। তবে দুয়ারিয়া এলাকা ছেড়ে আমাদের এলাকায় ঢুকে আমাদের লাগানো গাছগুলোও কেটে নিয়ে যাচ্ছে। তবে বড় বড় গাছগুলোই কেটে নিয়ে যাচ্ছে তারা।
এ বিষয়ে দুয়ারিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম লাভলু বলেন, সেখানে কোন গাছ কাটা হয়নি। ডালগুলো ছেটে দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা বনকর্মকর্তা জাহেদুল ইসলাম সিল্কসিটি নিউজকে জানান, গাছ কাটার বিষয়টি আমার জানা ছিলনা। পরে খোঁজ নিয়ে দেখেছি কিছু মরা গাছ কেটেছে নাকি। তবে আমি তাদের বলেছি, বনবিভাগকে না জানিয়ে আপনারা গাছ কাটা ঠিক করেননি।
তবে এই প্রতিবেদক তাজা গাছ কর্তনের বিষয়টি নিশ্চিত করলে বনকর্মকর্তা বলেন, আমি আগামীকাল (আজ সোমবার) সরেজমিনে গিয়ে গাছগুলো দেখে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেবো।
অভিযুক্ত আশরাফ আলী সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, দুইটা মরা গাছ কাটা হয়েছে। সেগুলো আবার আমার জিম্মায় রয়েছে।
এ বিষয়ে লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নজরুল ইসলাম সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, উপকারভোগিরা নাকি রাস্তার কিছু ডালপালা কেটেছে এটা শুনেছি। তবে গাছ কাটার বিষয়টি আমার জানা নেই। কারন বনবিভাগ বা উপকারভোগিরা কেউ আমার কাছ থেকে গাছ কাটার অনুমতি নেয়নি। পরে বিস্তারিত খোঁজ নিয়ে গাছকাটা বন্ধ করে দিয়েছি।
স/শ