লাদেন পুত্রের আতঙ্কে যুক্তরাষ্ট্র!

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

আল কায়দা প্রধান প্রয়াত ওসামা বিন লাদেনের ছেলে হামজা বিন লাদেন আতঙ্কে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের দাবি বাবাকে হত্যার প্রতিশোধ নিতে আল কায়দার দায়িত্ব নিয়েছেন হামজা।এজন্যই লাদেন পুত্র সম্পর্কে তথ্য দিতে ১০ লাখ মার্কিন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। যে কোনো দেশের লোক হামজা সম্পর্কে তথ্য দিয়ে এ পুরস্কার নিতে পারবে বলে জানানো হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে হামজা বিন লাদেন জঙ্গি দলটির গুরুত্বপূর্ণ নেতা হয়ে উঠেছেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে।

যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদের যে বাড়িতে আল-কায়দা নেতা লাদেনকে হত্যা করা হয় সেখানে তল্লাশি অভিযানে তার হাতে লেখা কয়েকটি চিঠি পাওয়া যায়।

ওই সব চিঠিতে হামজাকে নিজের সবচেয়ে প্রিয় ছেলে বর্ণনা করে লাদেন তাকে আল-কায়দার পরবর্তী নেতা হিসেবে গড়ে তুলছিলেন বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক নিরাপত্তা বিষয়ক উপমন্ত্রী মাইকেল ইভানফ বলেন, আমাদের বিশ্বাস হয়তো সে (হামজা) এখন আফগান-পাকিস্তান সীমান্তের কোথাও লুকিয়ে আছে।

গত কয়েক বছরে হামজার কয়েকটি ভিডিও এবং অডিও অনলাইনে প্রকাশ পেয়েছে। যেগুলোতে তিনি আল-কায়দার অনুসারীদের তার পিতার হত্যার বদলা নিতে যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের পশ্চিমা মিত্র দেশগুলোর ওপর হামলা চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

হামজার বয়স ৩০ বছর হতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। দুই বছর আগে যুক্তরাষ্ট্র তাকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী হিসেবে তালিকাভূক্ত করে। খবর বিবিসির।

এদিকে হামজা সম্পর্কে গণমাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করা হয়। সাত বছর আগে পাকিস্তানের অ্যাবোটবাদে মার্কিন সামরিক অভিযানে ওসামা বিন লাদেন নিহত হন। তার জীবিত তিন স্ত্রীর মধ্যে খাইরিয়া সাবারের গর্ভে জন্ম নিয়েছেন হামজা বিন লাদেন।

টুইন টাওয়ারে হামলায় অংশ নেয়া যে চারটি বিামন ছিনতাই করা হয়েছিল তার একটি বিমানে ছিলেন মোহাম্মদ আত্তা। হামজা আত্তার মেয়েকে বিয়ে করেছেন বলে গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়।

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় প্রাণ হারায় দুই হাজার ৭৫৩ জন। শুধু প্রাণের হিসেবেই নয়, এই ঘটনায় পাল্টে যায় বিশ্ব রাজনীতির মানচিত্র। ঘটনার পরপরই সন্দেহের তীর আল-কায়দার ওপর গিয়ে পড়ে।

প্রাথমিকভাবে হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার বিষয় অস্বীকার করলেও ২০০৪ সালে হামলার দায় স্বীকার করেন আল-কায়দা প্রধান ওসামা।