রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যা, সরকারকে একহাত নিল বিএনপি

গতকাল (বুধবার) রাতে কক্সবাজারের উখিয়ায় লাম্বাশিয়া রোহিঙ্গা শিবিরে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যা করে।এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপি। তাকে হত্যাকারী সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে বিএনপি।

বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনা রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে নিরাপত্তা দিতে বর্তমান সরকারের ব্যর্থতার আরও একটি কুনজির। এ ঘটনায় বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি চরমভাবে বিনষ্ট হয়েছে।

বিবৃতিতে ফখরুল বলেন, আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহ- যিনি রোহিঙ্গাদেরকে স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের জন্য অত্যন্ত সোচ্চার ছিলেন।  তিনি রোহিঙ্গাদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পক্ষে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন আদায়ের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। রোহিঙ্গা শরণার্থীদেরকে নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে ব্যর্থ এই সরকার দেশে আশ্রিত শরণার্থীদেরকে নিরাপত্তা দিতেও সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, নিশিরাতের ভোট ডাকাতির সরকারের ব্যর্থতা, অযোগ্যতায় সর্বক্ষেত্রে এখন চরম নৈরাজ্য চলছে।  যেখানে জনগণ, বিদেশি নাগরিক কিংবা শরণার্থী কারও জীবনেরই কোনো নিরাপত্তা নেই। কোনো স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি নেই। আইনশৃঙ্খলার অবনতিতে মানুষ দিশেহারা। জনগণ চায়, এই অবস্থার পরিবর্তন। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশের মান-মর্যাদা যেমন ভুলুণ্ঠিত হবে, তেমনি জানমালেরও কোনো নিরাপত্তা থাকবে না।

তিনি বলেন, দেশে যে জানমালের কোনো নিরাপত্তা নেই, আইনশৃঙ্খলার কোনো বালাই নেই- তার নিকৃষ্ট প্রমাণ হলো উখিয়ায় রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যা। এই সরকারের শাসনামলে অপরাধ করেও বিচার হয় না কিংবা বিচার হলেও সরকারি আনুকূল্যে অপরাধীরা ছাড়া পেয়ে যায় বলেই দ্বিগুণ উৎসাহে অপরাধ করতে উৎসাহী হয়। নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের পক্ষে বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর মুহিবুল্লাহ। তিনি যদি সংরক্ষিত এলাকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নির্মমভাবে নিহত হন, তাহলে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ ও মানুষ কতটা নিরাপত্তাহীন, তা সহজেই অনুমেয়।

 

 

সূত্রঃ যুগান্তর