রোহিঙ্গাদের পরিবহন ও বাড়ি ভাড়া না দিতে পুলিশের নির্দেশনা

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

বাংলাদেশে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের যানবাহনে পরিবহন না করতে গাড়ি মালিক-শ্রমিকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের বাড়ি ভাড়াও না দিতে বলেছে পুলিশ।

এ বিষয়ে দেশের জনসাধারণকে কিছু নিয়মকানুন মেনে চলার সুপারিশ করেছে পুলিশ সদর দপ্তর। মিয়ানমারের রাখাইনে হত্যা-নির্যাতনের কারণে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ছড়িয়ে পড়ার খবর আসার প্রেক্ষাপটে শনিবার পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এই নির্দেশনা পাঠানো হয়।

পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গাদের কোনো যানবাহনে পরিবহন করা যাবে না। তাদের ছড়িয়ে পড়া রোধে যানবাহনে পুলিশ তল্লাশি করবে।

এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, সরকার রোহিঙ্গাদের জন্য নির্দিষ্ট স্থানে বাসস্থান, খাওয়া, চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে। তারা নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন না করা পর্যন্ত শুধু কক্সবাজারের নির্দিষ্ট ক্যাম্পে সীমাবদ্ধ থাকবে।

ক্যাম্পের বাইরে তাদের আত্মীয়-স্বজন অথবা পরিচিত ব্যক্তিদের বাড়িতে অবস্থান-আশ্রয় গ্রহণ বা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে গমনাগমন করতে পারবেন না। তাদেরকে নির্দিষ্ট ক্যাম্পের বাইরে কেউ যেন বাসা-বাড়ি ভাড়া না দেয়।

নির্দেশনায় সড়ক, রেল ও নৌ পথ ব্যবহার করে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে রোহিঙ্গাদের না নিতে পরিবহন চালক-শ্রমিকদের বলা হয়েছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কেউ অন্য কোথায়ও আশ্রয় নিয়েছে কিংবা চলাচল করছে, এমন খবর পেলে স্থানীয় প্রশাসনকে জানাতে বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, রাখাইনে তিন সপ্তাহ আগে সহিংসতা শুরুর পর ইতোমধ্যে প্রয়ে চার লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে। ক্রমে এ সংখ্যা আরও বাড়ছে। শরণার্থীদের জন্য কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালীতে আশ্রয় শিবির করেছে সরকার। সেখানে তাদের নিবন্ধনও করা হচ্ছে।

তবে এরই মধ্যে চট্টগ্রাম, মানিকগঞ্জ, সুনামগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়েছে রোহিঙ্গারা। বেশ কয়েকজনকে ধরার পর উখিয়ায় ফেরতও পাঠানো হয়েছে।

সূত্র: রাইজিংবিডি