রেকর্ড ভোটে বিজয়ী রাসিক মেয়র লিটন, ভোট পড়েছে ৫৬ দশমিক ২০ শতাংশ


নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) পুনরায় মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।  এবার রেকর্ড ভোটে বিজয়ী হয়ে তৃতীয় বারের মতো নগরপিতা হলেন দিনি। বুধবার অনুষ্ঠিত সিটি নির্বাচনে বড় ব্যবধানে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগের এই নেতা। বেসরকারীভাবে তাকে মেয়র নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়।

কেন্দ্র থেকে আসা ভোটের ফলাফল অনুযায়ী, নির্বাচনে খায়রুজ্জামান লিটন নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৬০ হাজার ২৯০ ভোট পেয়েছেন। নির্বাচন থেকে সরে যাওয়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুরশিদ আলমের হাতপাখা প্রতীকে পড়েছে ১৩ হাজার ৪৮৭ ভোট। তিনিই আছেন দ্বিতীয় অবস্থানে। এছাড়াও বাতিল হয়েছে ২০১০ ভোট। প্রাপ্ত ভোটের হিসেব মতে ৫৬ দশমিক ৭০ শতাংশ ভোট পড়েছে।

আর জাকের পার্টির মেয়রপ্রার্থী লতিফ আনোয়ার গোলাপ ফুল প্রতীকে ১১ হাজার ৭১৩ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন। এছাড়া জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ১০ হাজার ২৭২ ভোট। তিনিও অবশ্য নির্বাচন থেকে আগেই সরে যেতে চাচ্ছিলেন। দল তাকে সরে যাওয়ার অনুমতি না দেওয়ায় মনের বিরুদ্ধেই ভোট করতে হয় তাকে।

নির্বাচনের পর রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে ফল ঘোষণা করা হয়ছ। তবে খায়রুজ্জামান লিটন সেখানে যাননি। তিনি তাঁর প্রতিনিধি পাঠিয়েছিলেন। এছাড়া অপর তিন প্রার্থীর কোনো প্রতিনিধিকেও পাওয়া যায়নি। নগরীর রানীবাজারে দলীয় কার্যালয়ে বসেই কেন্দ্র থেকে আসা ফলাফল দেখছিলেন। মোট ১৫৫ কেন্দ্রের ফল আসার পর লিটনকে ফুলের মালা পরিয়ে দেওয়া হয়।

লিটন পুনরায় মেয়র নির্বাচিত হওয়ায় কর্মসূচি ঘোষণা করেছে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ। কর্মসূচি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় নগরীর কুমারপাড়ায় মহানগর আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বরে বঙ্গবন্ধুসহ জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। এরপর দলীয় কার্যালয়ে নবনির্বাচিত মেয়রকে দলের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে।

এর আগে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন দলের সমর্থনে ২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো পদ্মাপাড়ের এ শহরের মেয়র হন। এরপর ২০১৩ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের কাছে পরাজিত হন তিনি।

তবে ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির বুলবুলকেই আবার বড় ব্যবধানে পরাজিত করে লিটন মেয়র হন। এবার সিটি নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র দাখিলের আগে তিনি মেয়রের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তবে জয়ের মালা পরে তিনি আবারও ফিরছেন নগর ভবনে।

স/আর