রুয়েট ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে মারপিট, এক নেতা আহত

রাবি প্রতিনিধি:

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। এতে ছাত্রলীগের এক নেতা আহত হয়েছেন। তার নাম নির্ঝর। তাকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পূর্ব বিরোধের জের ধরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

আহত নির্ঝর উপ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক। তিনি ছাত্রলীগ রুয়েট সভাপতি নাইমুর রহমান নিবিড় গ্রুপের নেতা।

তাকে মারপিট করেন সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান তপুর গ্রুপের নেতাকর্মীরা।

পরে তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের এক কর্মীকে শিবির সন্দেহে পুলিশে দিয়েছে রুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী মাহফুজুর রহমান তপু। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে রুয়েটের বঙ্গবন্ধু হলে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রুয়েট শাখা ছাত্রলীগের উপ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক নির্ঝর আহমেদকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সন্ধ্যা ৬টার দিকে বঙ্গবন্ধু হলে মারধর করে সাধারণ সম্পাদক তপুর অনুসারী কয়েকজন। এসময় নির্ঝর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কয়েকজনকে ডেকে পাঠায়। তারা আসার পর তপুর অনুসারিদের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। পরে তপুর অনুসারীরা তাদেরকে ধাওয়া দেয়। এসময় রাবি ছাত্রলীগ কর্মী মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আমিনুল ইসলাম হীরাকে আটক করে শিবির সন্দেহে পুলিশে দেয় রুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তপু। গুরুতর আহত হওয়ায় নির্ঝরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে রুয়েটে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

এ বিষয়ে রুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী মাহফুজুর রহমান তপু বলেন, ‘নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি থেকেই রুয়েটে একটু সমস্যা হয়েছিলো। আমি আর সভাপতি সেই সমস্যা সমাধানে ক্যাম্পাসে আসার সময় বহিরাগত কয়েকজন আমাদের চাকু নিয়ে ধাওয়া দেয়। আমরাও পাল্টা ধাওয়া দেই। এক পর্যায়ে তারা মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে গেলেও একজনকে ধরে আমরা পুলিশে দিয়েছি।’ সে রাবি ছাত্রলীগের কর্মী জানার পর তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগ কর্মী হলে আরেকজন ছাত্রলীগ কর্মীর উপর চাকু নিয়ে হামলা করতে আসতো না। তাই তাকে শিবিরকর্মী হিসেবেই পুলিশে দেয়া হয়েছে।’ ক্যাম্পাসের সমস্যা সমাধানে তারা প্রশাসনের সাথে বসেছেন বলে জানান।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘এমন কিছু ঘটেছে আমি জানতাম না। আমি এখনি খোঁজ নিচ্ছি। যদি এমন কিছু ঘটে তবে অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

নগরীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, ‘একজনকে শিবির সন্দেহে পুলিশে দিয়েছে রুয়েট ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করলেও এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে।’

স/আর