রুয়েটে তালা ভেঙ্গে মন্দিরের জিনিসপত্র চুরি

রাবি প্রতিনিধি:
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মন্দিরের তালা ভেঙ্গে পূজার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র চুরি হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা পূজা দিতে মন্দিরে গেলে তালা ভাঙ্গা দেখ পরে ভিতরে ঢুকলে অনেক প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি খোয়া যাওয়ার বিষয়টি দেখতে পায়। তাদের দাবি ধর্ম কাজে প্রতিবন্ধকতা করার জন্যই এমন কাজ করেছে দুর্বৃত্তরা।

রুয়েটের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কেন্দ্রীয় মন্দির নেই। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৪ সালে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হলের চতুর্থ তলায় একটি কক্ষ বরাদ্দ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে সেখানেই সনাতন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মন্দির হিসাবে ব্যবহার করে উপাসনা করতো।

রুয়েটের পূজা উদ্যাপন কমিটির অর্থ-সম্পাদক অধ্যাপক ড. সিদ্ধার্থ শংকর সাহা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে সারাদিন ক্লাস চলে এ জন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা প্রধানত রাতের দিকে মন্দিরে যায়। সেখানে তখন পূজা- উপাসনা করেন। তবে আমরা প্রতি বুধবার মন্দিরে পূজা করি। বুধবার যথারীতি পূজার জন্য যাই। গিয়ে দেখি রুমের তালা ভেঙ্গে রুমের ফ্যান ও পূজা দেওয়ার জন্য আমরা যেসকল জিনিসপত্র ব্যবহার করি তা আর নেই। এ সকল জিনিসের বাজার দর খুব বেশি না, আমাদের ধর্মীয় কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির জন্য এক শ্রেনির দুর্বৃত্তরা এ কাজ করেছে।

তিনি আরও বলেন, ‘হলের গার্ড এবং হল প্রাধ্যক্ষ সোমবার সকালে তালা ভাঙ্গা দেখেছেন কিন্তু তারা কেউ আমাদের জানান নি। রাতে হল গেটের তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। তাহলে এটা স্পষ্টত হলের কেউ এ কাজ করেছে।’

হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মিয়া মো. জগরুল শাহাদাৎ বলেন, ‘এটা দুঃখজনক ঘটনা। হলের গার্ড আমাকে জানালে আমি মন্দিরটি পরিদর্শনে যাই আর অক্ষত জিনিসগুলো আমার হেফাজতে রেখেছি। এগুলো হলের কোনো শিক্ষার্থী এমন কাজ করেছে কিনা তা নজরদারিতে আছে। কারও রুমে এসকল জিনিস পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এদিকে চুরির ঘটনায় ফেইসবুকসহ নানা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় শুরু হয়েছে। অনেকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আগাত হানার দায়ে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে।

স/অ