নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল হামিদ হলে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষের পর থেকে ক্যাম্পাসে নিজেদেরকে নিরাপত্তাহীন মনে করছেন শিক্ষার্থীরা। যেকোন সময় আবারও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা তাদের। ঘটনার কয়েকদিন পর ক্লাস-পরীক্ষা শুরু হলেও ক্যাম্পাস ও আবাসিক হলগুলোতে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।
এদিকে, সংঘর্ষ ও ভাংচুরের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তিসহ পাঁচ দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। সোমবার দুপুরে তারা এ স্মারকলিপি দেয়।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহা. রফিকুল আলম বেগ স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। শিক্ষার্থীদের অন্য দাবিগুলো হল- জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে শিক্ষা কার্যক্রমের সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনা, আবাসিক হলগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা, সংঘর্ষের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া এবং ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের অবাধ চলাচল বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন, ‘গত ৮ মার্চ রাতে আবদুল হামিদ হলে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের হামলার সময় বিভিন্ন কক্ষে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। ওই রাতে হামলাকারীরা আমাদের ল্যাপটপ, মোবাইল, ক্যামেরা ও নগদ টাকা লুটসহ হলের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। যার মূল্য আনুমানিক ৬৫ লক্ষাধিক টাকা। এ ঘটনায় আমরা ভীত এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমরা নিয়মিত একাডেমিক কার্যক্রমেও অংশ নিতে পারছে না।’
উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ আ. হামিদ হলে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে তিন শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের অন্তত দশজন নেতাকর্মী আহত হয়। এর মধ্যে এনামুল কবির রাজন নামের এক শিক্ষার্থী এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ওইদিন রাতেই রুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
স/অ