রুশ বাহিনীর অভিযানের সংবাদ প্রতি মুহূর্তে যেভাবে পাচ্ছেন জেলেনস্কি

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউরোপের দেশ ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পরাশক্তি রাশিয়া। আজ সোমবার দ্বাদশতম দিনে প্রবেশ করল রুশ অভিযান। এরই মধ্যে রাশিয়া ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি নগরী দখল করে নিয়েছে।

তবে রুশ বাহিনী বিগত ১১ দিনেও ইউক্রেনের রাজধানী দখলে নিতে পারেনি। এমনকি তাদের কাছে পরাজয়ও স্বীকার করেনি ইউক্রেন। বরং এই সময়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি নানাভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর কাছে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য অস্ত্র চেয়ে আবেদন জানিয়েছে।

সেই সঙ্গে প্রায় প্রতি মুহূর্তে দেশের যুদ্ধপরিস্থিতির তথ্য অনলাইনে তুলে ধরছেন। কথা বলছেন বিশ্বের বিভিন্ন শক্তিশারী রাষ্ট্রের নেতাদের সঙ্গেও। কিন্তু কীভাবে সম্ভব হচ্ছে এটি। রাশিয়া এখনও তার যোগাযোগের ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করছে না কেন?

জানা গেল সেই রহস্য। নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার ডিজিটাল আক্রমণ ও যোগাযোগকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য কাজ করছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।

দ্য টাইমসের প্রতিবদেনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র এবং জার্মানি ভিত্তিক ইউএস সাইবার কমান্ডের কর্মীরা স্যাটেলাইট এবং ইলেকট্রনিক ইন্টারসেপ্ট থেকে তথ্য সংগ্রহ করার ‘এক বা দুই ঘন্টা’র মধ্যে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীকে গোয়েন্দা তথ্য প্রদান করছে।

টাইমস আরও জানিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জেলেনস্কিকে এনক্রিপ্ট করা যোগাযোগ সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে, যার মাধ্যমে একটি সুরক্ষিত লাইনে বাইডেনকে কল করতে পারছেন তিনি। গত শনিবারও জেলেনস্কি মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনর সাথে ৩৫ মিনিট ধরে ফোনে বলেছেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের সঙ্গে প্রতি মুহূর্তে গোয়েন্দা তথ্য শেয়ার করছে। তবে তখন তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি।

উল্লেখ্য, ইউক্রেনের এই সামরিক অভিযানের অর্থ যুদ্ধ নয় বলে দাবি করেছে মস্কো। বরং রাশিয়ার দাবি, বিশ্বব্যাপী একটি সম্ভাব্য যুদ্ধ প্রতিহত করার লক্ষ্যে এই অভিযান চালানো হচ্ছে।

এরই মধ্যে রুশ এই অভিযানে ১৫ লাখের বেশি মানুষ ইউক্রেন ছেড়ে প্রতিবেশি রাষ্ট্রগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

 

সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন