রিহানা-গ্রেটার ভাইরাল টুইট, মোদির পাশে অক্ষয়-অজয়রা

নতুন তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনরত কৃষকদেরকে সমর্থন জানিয়েছেন পরিবেশ আন্দোলন কর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। মঙ্গলবার রাতে নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে সিএনএন-এর একটি সংবাদ শেয়ার করে কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন তিনি।

বুধবার এই ইস্যুতে প্রথমবার মুখ খুললেন বলিউডের প্রথম সারির একঝাঁক তারকা। তালিকায় রয়েছেন অক্ষয় কুমার, অজয় দেবগণ, করণ জোহর, সুনীল সেট্টিরা। আন্তর্জাতিক পপ তারকা রিহানা ও পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ ভারতে চলা কৃষক আন্দোলন নিয়ে বিস্ফোরক টুইট করেন। সেই টুইটের সমালোচনা করে বিবৃতি দেয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এরপরই এক এক করে টুইটারে ‘ভারত বিরোধী প্রোপাগান্ডা’ সরব বলিউড।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অক্ষয় কুমার এদিন কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক বিবৃতির প্রতিলিপি রি-টুইট করে লেখেন, ‘কৃষকরা আমাদের দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ।  সমস্যার সমাধানে সবরকম জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে তাও স্পষ্ট। আসুন একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সমাধানের খোঁজ করা যাক। যার বিভেদ তৈরি করছে আসুন তাদের দূরে সরিয়ে দিই।

অন্যদিকে অজয় দেবগন নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘ভারত অথবা ভারতের নীতি-বিরোধী কোনো মিথ্যা প্রোপাগান্ডার ফাঁদে পা দেবেন না। এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি মারামারি ভুলে আমাদের একতা বজায় রাখা’।

সুনীল সেট্টি টুইটে লেখেন, ‘প্রত্যেকটা জিনিস সম্পর্কে বিস্তৃত ভাবনা-চিন্তার প্রয়োজন রয়েছে, কারণ অর্ধসত্যের চেয়ে বেশি খতরনাক আর কিছুই নয়’।

এদিকে পরিচালক-প্রযোজক করণ জোহর টুইট করেন, ‘আমরা একটা কঠিন সময়ের মধ্যে বাস করছি, এই মুহূর্তে সহচেয়ে জরুরি হল প্রতিটা বাঁকে বিচক্ষণতা এবং ধৈর্য। প্রত্যেকের পক্ষে যা আদর্শ হবে তেমন একটা সমাধান খুঁজে বার করবার উদ্দেশ্যে আসুন আমরা সকলে মিলে চেষ্টা করি- আমাদের কৃষকভাইয়েরা হল এই দেশের মূল চালিকাশক্তি। আসুন কেউ যেন আমাদের মাঝে ফাটল না ধরায়’।

বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়, এই ধরনের সংবেদনশীল বিষয় নিয়ে মন্তব্য করবার আগে গোটা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হওয়াটা খুব জরুরি। লেখা হয়, ‘এধরনের বিষয়গুলোতে মন্তব্য করার আগে সত্যতা যাচাই করে নেওয়া উচিত। এই বিষয়গুলোর মধ্যে ঢোকার আগে ঠিক কী ঘটেছে তা বুঝে নেওয়া উচিত।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে রিহানা ও গ্রেটার ভাইরাল টুইট সম্পর্ক প্রতিক্রিয়ায় আরও বলা হয়েছে, ‘সোশ্যাল মিডিয়া হ্যাশট্যাগের প্রলোভন দেখিয়ে তারকারা যখন কোনো মন্তব্য করেন কিংবা কোনো বিষয়কে সমর্থন করেন, সবসময় তা সঠিক হ য়না বা দায়বদ্ধতার পরিচয় দেয় না’।

 

সুত্রঃ যুগান্তর